নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নির্দিষ্ট খাতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট, ফ্লোর স্পেস ও জমি কেনার ক্ষেত্রে এই সুযোগ। তবে, এই ক্ষেত্রে করহার সর্বোচ্চ সাত গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।
বিশেষ করে, ঢাকার গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, মতিঝিলসহ অভিজাত এলাকার জমির ওপর প্রতি বর্গমিটারে করের পরিমাণ বর্তমানে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা থাকলেও সেটা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার টাকায় উন্নীত হতে পারে। এতে করে জমি ও সম্পত্তির নিলাম প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়তে পারে এবং প্রকৃত মূল্য দেখানোর প্রবণতা বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
তবে, এই প্রস্তাবটি সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের ব্যবস্থা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে এবং আইনের শাসনকে দুর্বল করে দেয়।
অন্যদিকে, এনবিআর চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী, আবাসন ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পুরোপুরি বাতিল না করে, করহার বাড়িয়ে সীমিত সুযোগ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, জমি ও ফ্ল্যাট নিবন্ধনের সময় প্রকৃত মূল্য দেখানোর প্রবণতা বাড়াতে রেজিস্ট্রেশনের মান কমানোর সুপারিশও করা হয়েছে।
বাজেটে প্লাস্টিকের টেবিলওয়্যার ও কিচেনওয়্যারে ১৫% ভ্যাট আরোপের পাশাপাশি, বাণিজ্যিকভাবে আমদানিকৃত সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক ১৫০% থেকে বাড়িয়ে ৩০০% করার প্রস্তাব রয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২ জুন এই বাজেট পেশ করবেন।