রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় একটি ভাড়া বাসা থেকে সুমি আক্তার (২৭) নামে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে কথিত স্বামী রাসেলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক।
সোমবার (১৬ জুন) রাতে উত্তর বাড্ডার সোনামিয়া মাতুব্বর রোডের চ-১০০ নম্বর বাসার তৃতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মেয়ের হবু স্বামীর সঙ্গে পালালেন শাশুড়ি, বললেন আমিই তাকে বিয়ে করব
নিহত সুমি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বাসবুনিয়া গ্রামের মো. হানিফ হাওলাদারের মেয়ে। তিন মাস আগে কথিত স্বামী রাসেলের সঙ্গে উত্তর বাড্ডায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা রাতে ঘটনাস্থলে যাই। বিছানার ওপর অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, পাঁচ-ছয় দিন আগে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, “নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, রাসেলের সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তবে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়নি। রাসেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে ঘটনার পেছনের কারণ জানা যাবে।
নিহত সুমির বোনজামাই আরাফাত জানান, আমরা শুনেছি আমার শ্যালিকা রাসেল নামে একটি ছেলেকে বিয়ে করেছে। এরপর থেকে তার সঙ্গে আমাদের ওইভাবে যোগাযোগ ছিল না। গতকাল রাতে আমরা খবর পাই আমার শ্যালিকা মারা গেছেন। পরে গিয়ে দেখি তার অর্ধ গলিত মরদেহ। আমরা যতদূর জানি রাসেল একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি করতেন এবং আমার শ্যালিকা নাকি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ওই বাসায় রাসেলের আরেক ভাগিনা সাকিব আসা-যাওয়া ছিল। কয়েকদিন আগে তিনি সৌদি আরব চলে গেছেন। আমাদের ধারণা রাসেল ও সাকিব দুজনে মিলেই কয়েকদিন আগে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যান। রাসেলকে গ্রেপ্তার করা গেলেই ঘটনার মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ।