নব্বই দশকের অন্যতম প্রধান কবি খলিল মজিদ এ বছর বামিহাল সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করলেন। তাঁর প্রকাশিত কবিতার বই পালকাপ্য ও তরল মন্দিরা কাব্যমহলে বিশেষভাবে সমাদৃত। বর্তমানে তিনি কবিতা ও নন্দনভাবনার ছোটকাগজ একবিংশ’র নির্বাহী সম্পাদক।
এক আলোচনায় অধ্যাপক গবেষক ড. তপোধীর ভট্টাচার্য়্ লিখেছেন, খলিল মজিদের কবিতা যৌথ সাংস্কৃতিক বিশ্ববীক্ষার চিহ্নায়ক দিয়ে গ্রথিত। প্রজ্ঞা ও অনুভূতির সংশ্লেষণ তাঁর অন্বিষ্ট যা সাম্প্রতিক বাংলা কবিতায় ক্রমশ দুর্লভ হয়ে উঠেছে। কবিতার বয়ানকে কখনো বক্তব্যশূন্য করেন না তিনি। সাংস্কৃতিক ও নৈসর্গিক চিহ্নায়কের যুগলবন্ধিতে উজ্জ্বল তাঁর কবিতা।চিরায়ত সাম্প্রতিকের ভাষা কত সুক্ষ্মভাবে জাতীয় স্বভাবে সম্পৃক্ত তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত খলিল মজিদের কবিতা।
উল্লেখ্য, বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৭ জনকে বামিহাল সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪ প্রদান করা হয়। এ বছর কবিতায় খলিল মজিদ, ছোটকাগজ সম্পাদনায় হোসেন দেলওয়ার, শিশুসাহিত্যে শেলী সেনগুপ্তা, প্রবন্ধ-সাহিত্যে মিজান রহমান, কথাসাহিত্যে মনি হায়দার এবংতরুণ কবি রকিব লিখন, কথাসাহিত্যিক সাগরিকা নাসরিনকে বামিহাল তরুণ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ দেওয়া হয়।
২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বামিহাল গ্রামের সবুজ প্রান্তরে দিনব্যাপী এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘বামিহাল সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪’ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি ও প্রাবন্ধিক শোয়েব শাহরিয়ার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও ছোটকাগজ সম্পাদক অনিকেত শামীম ও কবি শিবলী মোকতাদির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বামিহাল সম্পাদক কবি রনি বর্মন। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন বামিহাল সাহিত্য উৎসবের সমন্বয়ক কবি ও কথাসাহিত্যিক রিপন আহসান ঋতু।