বিএনপির ২ হাজার নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে’

বিভিন্ন অভিযোগে বিএনপির দুই হাজার নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

শনিবার (২২ মার্চ) চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

মহানগর বিএনপির সভাপতি এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠামাত্র বহিষ্কার করা হচ্ছে। পরে তদন্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২ হাজারের কাছাকাছি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা পত্রিকা বা যেকোনোভাবে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। এটি উদাহরণ হয়ে থাকছে। অভিযোগ পেলে প্রথমেই কোনোরকম তদন্ত ছাড়া বহিষ্কার করা হচ্ছে। পরবর্তীতে অপরাধের সঙ্গে জড়িত না বলে প্রমাণ পাওয়া গেলে। তাদের দলে ফেরানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি যারা অপরাধে জড়িত, তারা যে দলেরই হোক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এক্ষেত্রে দলমত বিবেচনা করার দরকার নেই। আমরা নিজেরা সরকারে থাকলেও এটাই করতাম।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটি বিএনপির জনপ্রিয়তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য একটি পক্ষ প্রচার করছে। যারা প্রচার করছে তাদের কোনও আদর্শ নেই। তারা নতুন নতুন বয়ান বাজারে ছড়াচ্ছে। বিএনপি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্বারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দল। বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের প্রত্যেক স্তরের নেতাকর্মী জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সুতরাং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

তিনি বলেন, আমরা কোনো প্রতিহিংসা কিংবা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। তবে আমরা চাই শেখ হাসিনাসহ যারা অপরাধে জড়িত তাদের বিচার হোক। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি অতিদ্রুত দৃশ্যমান বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য। বিএনপি বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী না।

তিনি আরও বলেন, এখন যারা সরকারে রয়েছে, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না। আমরা প্রত্যেকটা দিন গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া অতিবাহিত করছি। তাই নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে।