বিএসএফের পুশইনের চেষ্টা রুখে দিল বিজিবি-জনতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে গভীর রাতে বিপুল পরিমাণের মানুষকে পুশইনের চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও স্থানীয় জনতার কঠোর প্রতিরোধের মুখে তারা সেটা পারেনি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতভর সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, প্রায় সাড়ে সাতশ মানুষকে পুশইনের চেষ্টা করা হয়।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে ত্রিপুরায় আটক ৬০০ জনের বেশি ও সম্প্রতি রাজস্থানে আটক ১৪৮ জনকে পুশইনের সিদ্ধান্ত নেয় সেখানকার সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে আটককৃতদের পুশইন করতে জড়ো হয় বিএসএফ। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যায় বিজিবি। যোগ দেয় স্থানীয় লোকজন।

পুশইনের খবরে সিঙ্গারবিল, বিষ্ণুপুর, নলঘরিয়া, মেরাসানী ও নোয়াবাদী এলাকার মসজিদগুলোতে মাইকিং করা হয়। স্থানীয়দের সীমান্তে যাওয়ার জন্য বলা হয়। পরে শত শত লোক সীমান্তে জড়ো হয়। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে লোকজনকে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া শুক্রবার সকালে বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। রাত ২টার দিকে বিজিবির মাধ্যমে খবর পেয়ে এলাকার মানুষকে সীমান্তে যেতে বলি। লোকজন জড়ো হলে বিএসএফ সরে যায়।’

ইউপি সদস্য মামুন চৌধুরী বলেন, ‘বিএসএফ পুশইনের চেষ্টা করলে এলাকায় মাইকিং করা হয়। বিজিবির সহযোগিতায় লোকজন সীমান্তে গিয়ে জড়ো হয়ে তাদেরকে পিছু হটতে বাধ্য করে। তবে কতজনকে সীমান্তে আনা হয়েছিল সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধনা ত্রিপুরা বলেন, ‘সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। পুশইন চেষ্টার খবরে জনগণ বিজিবির সঙ্গে থেকে প্রতিহত করেছে। এখনও সতর্ক অবস্থানে আছেন সবাই।’

বিজিবি- ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাব্বার আহাম্মেদ বলেন, ‘বিএসএফ পুশইন করবে বলে খবর আসে। এ অবস্থায় বিজিবি সতর্ক অবস্থান নেয়। পাশাপাশি উৎসুক জনতা সীমান্তে জড়ো হয়।’