নিজ নিজ কোম্পানির হালাল পণ্যের প্রদর্শনী করছে প্রাণসহ দেশি-বিদেশি দশ প্রতিষ্ঠান। সোমবার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) প্রাঙ্গণে এ পণ্য প্রদর্শনী চলছে।
আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত ন্যাশনাল হালাল ল্যাবরেটরি উদ্বোধন উপলক্ষে এ আয়োজন করেছে সংস্থাটি। প্রদর্শনীতে বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তাসহ দেশের ব্যবসায়ী এবং নানা শ্রেণীর সংশ্লিষ্টরা অংশ নিচ্ছেন।
প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখেছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব ওবায়দুর রহমান এবং এফবিসিসিআই এর প্রশাসক হাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুনঃ বাজারে এলো বিএসটিআই সার্টিফাইড ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক ‘আয়ন’
বিএসটিআই প্রাঙ্গণে এ পণ্য প্রদর্শনীতে প্রাণ, নেসলে, অলিম্পিক, আকিজ, কোকোলা ফুড, রিমার্ক এইচবি, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড, আকিজ বেকার্স লিমিটেড, বেঙ্গল মিট, নিউজিল্যান্ড ডেইরি, ছোয়া ফ্রোজেন ফুডস লিমিটেড অংশ নিয়েছে।
প্রাণ গ্রুপের ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) শামসুল আলম বলেন, এখনে ১৮ ক্যাটাগরিতে ৯৬ পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে, যেগুলো বিএসটিআই থেকে হালাল সনদ নেওয়া। এছাড়াও প্রায় আমাদের দুই হাজারের মতো পণ্য আছে, যেগুলো অন্যান্য সংস্থা থেকে সনদ নেওয়া। সেগুলো এখানে নেই।
তিনি বলেন, এখানে আমরা আমাদের বিএসটিআই থেকে হালাল সনদপ্রাপ্ত পণ্যগুলোর আলাদা প্রদর্শনীর সুযোগ পাচ্ছি। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ।
আলিম্পিক এর ডেপুটি ম্যানেজার (কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স) মোস্তফা কামাল বলেন, বিশ্ববাজারের ৪০টি দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে একটি বড় বাজার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। যেখানে রপ্তানির জন্য বাধ্যতামূলক হালাল সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। এখন বিএসটিআই থেকে আমরা বিভিন্ন পণ্যের হালাল সার্টিফিকেট নিতে পারছি। আগে এ সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য বিদেশ যেতে হতো। বাড়তি খরচ ও ঝামেলা ছিল। এ সনদ চালু করায় আমরা সুফল পাচ্ছি।
তিনি বলেন, আজকের এই আয়োজন সেসব হালাল পণ্য সনদ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি মিলনমেলা। তবে প্রথমবারের মতোই আয়োজনের পরিসরটা একটু ছোট। আশা করছি, পরবর্তী সময় বাহিরের কোনো জায়গায় সর্বসাধারণের মধ্যে পণ্য প্রদর্শনীর সুযোগ পাব।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বিএসটিআই দেশের বাজারে হালাল পণ্যের বিকাশে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বিগত কয়েক বছরে। এর মধ্যে হালাল সার্টিফিকেট প্রদান একটি। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে হালাল ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হচ্ছে আজ।
দেশের প্রসাধনী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রিমার্ক এইচবি লিমিটেডের অপারেটিভ ডিরেক্টর আরিফুল ইসলাম বলেন, দেশে আমরা প্রথম কোনো প্রসাধনী, স্কিন ও হোমকেয়ার পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি হিসেবে প্রতিটি পণ্যের জন্য হালাল সনদ নিচ্ছি। আমরা এরইমধ্যে ২৪টি পণ্যের হালাল সনদ পেয়েছি। এছাড়া ২০০ এরও বেশি পণ্যের সনদের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিশ্ববাজারে নানা ধরনের হালাল পণ্যের বাজার দিন দিন বড় হচ্ছে। যেখানে তৈরি পোশাকের বিশ্ববাজার ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার, সেখানে হালাল পণ্যের বাজার ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার, যা প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ হালাল পণ্য রপ্তানি করছে মাত্র ৮৪৩ দশমিক শূন্য ৩ মিলিয়ন ডলারের, যার বেশিরভাগই কৃষিভিত্তিক পণ্য।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ