বিকেল ৫টা থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর: ভারত

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক (ডিজিএমও) আজ বিকেলে তার ভারতীয় সমকক্ষকে ফোন করেন এবং দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে একটি চুক্তি হয়।

সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে মিশ্রি বলেন, উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে যে, স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে সব ধরনের যুদ্ধ ও সামরিক কার্যক্রম আজ ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা (বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টা) থেকে বন্ধ থাকবে।

তিনি আরও জানান, এ সমঝোতা কার্যকর করার জন্য উভয় পক্ষকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামরিক অভিযানের মহাপরিচালকরা আবার ১২ মে দুপুর ১২টায় কথা বলবেন।

এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর আগের দাবির আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ মিললো।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি প্রকাশ করেন। পরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে তিনি বলেন, পাকিস্তান ও ভারত একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

তিনি আরও লেখেন, নিজের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা বজায় রেখে পাকিস্তান সবসময়ই এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে এসেছে!

এর আগে, শনিবার (১০ মে) ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতজুড়ে আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ বুদ্ধি ও চমৎকার কৌশল প্রয়োগের জন্য উভয় দেশকে অভিনন্দন। এই বিষয়টির প্রতি মনোযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ!

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় তিনি এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, শান্তির পথ বেছে নেওয়ার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রধানমন্ত্রী শরিফের প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও রাষ্ট্রনায়কসুলভ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করি।

সূত্র: আল-জাজিরা