বিজিএমইএ’তে একক পর্যবেক্ষণ ও কমপ্লায়েন্স সিস্টেমের উপর পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে একক পর্যবেক্ষণ ও কমপ্লায়েন্স সিস্টেম (সিএমসিএস) এর জন্য পরামর্শ বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৭ মে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।

সভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফে) এবং এমএন্ডএস (M&S), গ্যাপ (GAP), ইনডিটেক্স (Inditex) ও লি অ্যান্ড ফাং (Li & Fung) এর মতো প্রধান বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ এর সদস্যগন সহ গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় পোশাক শিল্প এবং বস্ত্রখাতে নিরীক্ষা ও কমপ্লায়েন্স এর পুনরাবৃত্তি নিয়ে বিরাজমান চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা তুলে ধরেন যে, এটি কিভাবে নিরীক্ষা প্রক্রিয়াকে ক্লান্তিকর, একই প্রচেষ্টার পুনরাবৃত্তি করে এবং অদক্ষ উপায়ে সম্পদ ব্যবহারের কারন হয়।

পরামর্শ সভার মূল লক্ষ্য ছিল খাতজুড়ে দক্ষতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে পর্যবেক্ষণ ও কমপ্লায়েন্স পদ্ধতিকে সুবিন্যস্ত করার জন্য একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠার উপায় নিয়ে আলোচনা করা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ এর প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোসেন। বিজিএমইএ সাপোর্ট কমিটির সদস্য এ এন এম সাইফুদ্দিন আলোচনা সঞ্চালন করেন এবং বিকেএমইএ এর নির্বাহী সভাপতি ফজলে এহসান শামীম সভায় বক্তব্য রাখেন।

আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌতিয়াইনেন তার বক্তব্যে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় ব্যবস্থা তৈরির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি এ ধরনের একটি ব্যবস্থাকে সফল ও টেকসই করে তুলতে আস্থা তৈরি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার উপর জোর দেন।

বিজিএমইএ এর প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে নিরীক্ষায় বিচ্যুতি কমানোর উপর জোর দেন এবং সামাজিক ও প্রযুক্তিগত নিরীক্ষার জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সমন্বিত আচরণবিধিসহ একটি সাধারণ কমপ্লায়েন্স প্ল্যাটফর্মের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এটি সকল অংশীজন তথা ক্রেতা, উৎপাদনকারী এবং শ্রমিক সবার জন্যই উপকারী হবে।
আনোয়ার হোসেন আইএলও’কে এ ব্যাপারে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

উপস্থিত সকল ব্র্যান্ড প্রতিনিধি এবং অংশীজনরা এই উদ্যোগের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন।

পরামর্শ সভার ফলাফলগুলো হলো:

১) বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ যৌথভাবে একটি ধারণাপত্র তৈরি করবে, যেখানে একটি সমন্বিত পর্যবেক্ষণ ও কমপ্লায়েন্স সিস্টেমের পরিধি, যুক্তি এবং কাঠামো উল্লেখ থাকবে।

২) ট্রেড বডি, নিয়োগকর্তা, ট্রেড ইউনিয়ন, ব্র্যান্ড এবং নিরীক্ষা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সাধারণ কমপ্লায়েন্স সূচক চিহ্নিত করতে অংশীজনদের সাথে পরামর্শ শুরু করা হবে।

৩) এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক প্রত্যাশার সাথে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ জাতীয় কমপ্লায়েন্স সিস্টেমের ভিত্তি স্থাপন করা।