ফেব্রুয়ারি মাসের কথা। কেরালায় কংগ্রসের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, ‘প্রীতি জিন্তার ১৮ কোটি টাকার ঋণ মওকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।’
শুধু তাই নয়, ‘প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন’, এমন অভিযোগও ওঠে।
কংগ্রেসের এমন কটাক্ষের মাঝেই মহাকুম্ভে আস্থার ডুব দিয়ে এসেছিলেন অভিনেত্রী। এরপরই অবশ্য কেরালা কংগ্রসের উদ্দেশে তোপ দেগে পাল্টা ঝাঁজালো উত্তর দেন ‘সোলজার’ অভিনেত্রী।
যা শুনে নেটপাড়ার একাংশ আবার বিজেপি ‘ভক্ত’ আখ্যা দেয় প্রীতিকে। এমন আবহেই বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছে।
এসবের মাঝেই এক নেটিজেন সম্প্রতি প্রীতিকে সরাসরি প্রশ্ন করেন, তিনি কি সত্যিই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? যেখানে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি কি বিজেপিতে যোগ দেবেন ভবিষ্যতে? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে।’
পাল্টা জবাবে প্রীতি বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সকলে এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত, তার মানে এই নয় যে এসকল কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব। আসলে ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’
গত ফেব্রুয়ারি মাসেও প্রীতি ধোঁয়াশা সরিয়ে জানিয়েছিলেন, রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকী রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছি। কারণ আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ (সোলজার) বললেও অত্যুক্তি হবে না। কারণ আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা। আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ‘ভারতীয়’। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।