শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পল্লীকবি জসীম উদদীন এবং বিজ্ঞানী ড. আবদুল্লাহ-আল-মুতী শরফুদ্দিনের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং বিজ্ঞান বিষয়ক বক্তৃতা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠান ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার, সকাল ১০টায় কচি-কাঁচা মিলনায়তনে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। আলোচনা পর্বে অংশ নেন মেলার সভাপতি ড. রওশন আরা ফিরোজ এবং সহসভাপতি খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখে শিশুবক্তা আরিশা পদ্ম এবং সভাপতিত্ব করে মেলার ছোট্ট ভাই জায়ান এ্যাডাম চৌধুরী।
অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘শিশুদের সৃজনশীলতা এবং জ্ঞানচর্চার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এ ধরনের আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সৃজনশীলতা, পল্লীকবি জসীম উদদীনের মানবিক চেতনা এবং ড. আবদুল্লাহ-আল-মুতী শরফুদ্দিনের বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা থেকে অনুপ্রাণিত হবে।’
শিশু বক্তা আরিশা পদ্ম তার বক্তৃতায় শিশুদের জন্য বিজ্ঞান ও শিল্পকলাচর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে। অনুষ্ঠানের সভাপতি দশ বছর বয়সী মেলার ছোট্ট ভাই জায়ান এ্যাডাম চৌধুরী বলে, ‘শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পল্লীকবি জসীম উদদীন এবং বিজ্ঞানী ড. আবদুল্লাহ-আল-মুতী শরফুদ্দিনের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা আয়োজিত এই প্রতিযোগিতাগুলো আমাদের মতো শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখানে প্রতিযোগিতা করি, শিখি এবং আমাদের সৃজনশীলতা ও মেধা প্রকাশের সুযোগ পাই। শিল্প, সাহিত্য এবং বিজ্ঞানকে কেন্দ্র করে এই উদ্যোগগুলো আমাদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করে। এই আয়োজন শিশুদের একত্রিত করে, বন্ধুত্ব তৈরি করে এবং নতুন নতুন কিছু শেখার প্রেরণা যোগায়।’
¬¬
অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার এবং সনদ বিতরণ করা হয়। কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা গত ২০ ও ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত শিশু কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও বিজ্ঞান বিষয়ক বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় বয়সভিত্তিক তিনটি বিভাগে প্রায় ৮০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে, যা এ ধরনের উদ্যোগের জনপ্রিয়তা এবং প্রয়োজনীয়তার প্রতিফলন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পল্লীকবি জসীম উদদীন এবং বিজ্ঞানী ড. আবদুল্লাহ-আল-মুতী শরফুদ্দিনের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা প্রতিবছর এই তিন গুণীজনের জন্মোৎসব পালন ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এই আয়োজন শিশুদের মাঝে সৃজনশীলতা, বিজ্ঞানমনস্কতা ও সাংস্কৃতিক চেতনা প্রসারের একটি চলমান উদ্যোগ।
এ আয়োজনের শেষ পর্বে মেলার ভাইবোনেরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।