জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিস সম্প্রতি জানিয়েছে, গাজা বর্তমানে ‘পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধার্ত স্থান’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। যেখানে মোট ২৩ লাখ মানুষই এখন ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধার’ মুখোমুখি। যা এক চরম মানবিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। চলমান সংঘাতে খাদ্য ও মৌলিক চাহিদার অভাবে এখানকার মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। খবর আল-জাজিরার।
এই ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্যেই দক্ষিণ গাজার রাফাহের পশ্চিমে একটি ত্রাণ বিতরণ স্থানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও দুজনকে হত্যা করেছে। এমন ঘটনা ত্রাণ কার্যক্রমে আরও বাধা সৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মানুষের মধ্যে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার (৩০ মে) বলেছেন, ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ‘খুব কাছাকাছি’, শিগগিরই তা ঘোষণা করা হতে পারে। তার এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন গাজায় মানবিক পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে, ক্রমাগত বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
আরও পড়ুনঃ গাজায় অনাহারে অপুষ্টিতে ৫৭ শিশুর মৃত্যু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৫৪ হাজার ৩২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ২৩ হাজার ৭৭০ জন। সরকারি মিডিয়া অফিস মৃত্যুর সংখ্যা ৬১ হাজারে ৭০০-এরও বেশি বলে জানিয়েছে।
অন্যদিকে, হামাস নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরায়েলে আনুমানিক এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছিল। এছাড়া ২০০ জনেরও বেশি লোককে বন্দি করা হয়েছিল।
এই চলমান সংঘাত শুধু জানমালের ক্ষতি করছে না, বরং গাজার সাধারণ মানুষের জন্য এক অভূতপূর্ব মানবিক সংকট তৈরি করেছে। যেখানে খাদ্য ও মৌলিক জীবনধারণের অধিকারই আজ হুমকির মুখে।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ।