বিয়ে হলো একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি। যার মাধ্যমে দুজন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তবে বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা বাড়ায় অনেকেই বিয়ে করতে ভয় পান! বিয়ে নিয়ে অনেকের মধ্যেই এখন ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, বিয়ে মানেই শুধু দাম্পত্য কলহ কিংবা বিচ্ছেদ।
তবে খেয়াল করলে দেখবেন, অনেকেই আছেন যারা বিবাহিত জীবনে সুখী। যদিও বা অনেকেই খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যান, তার মানে এই নয় যে আপনার ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটবে। বরং বিয়ে করলে আপনি বিভিন্নভাবে লাভবান হবেন। কীভাবে চলুন জেনে নেওয়া যাক-
আরও শিখতে পারবেন
বাকি জীবনটুকু যার সঙ্গে কাটানোর প্রতিশ্রুতি আপনি করছেন তার সঙ্গে বিয়ের পর এক ছাদের তলায় বসবাস করতে গিয়ে আপনি অনক কিছু শিখতে পারবেন। বিয়ের মাধ্যমে একজন আরেকজনকে ভালো মানুষ হতে সাহায্য করেন দম্পতি। শুধু একে অন্যের দোষ না ধরে বরং সঙ্গীর প্রতিভাও খুঁজে বের করেন দম্পতিরা। একে অপরের স্বপ্নকে সমর্থন করার সময় দুজনে মানিয়ে নিতে শেখেন বিবাহিতরা।
আজীবন সঙ্গী পাবেন
বৈবাহিক বন্ধনে জড়ালে আপনি একজন আজীবন সঙ্গী পাবেন। একা থাকার চেয়ে একজন সঙ্গী থাকলে তার সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা, আবেগ, অনুভূতি, চিন্তাভাবনা ও মতামত শেয়ার করা যায়। শুধু তাই নয়, আপনার বিজয় উদযাপন করার জন্য, কঠিন পরিস্থিতিতে সাহায্য করার জন্য ও জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতি সামাল দিতেও প্রয়োজন হয় একজন বিশ্বস্ত সঙ্গীর।
যত্নশীল সঙ্গী পাবেন
আপনার সঙ্গী যদি যত্নশীল হন তাহলে দেখবেন বিয়ের পর ঠিকই তার প্রেমে আপনি মজবেন। নারী-পুরুষ সবাই চায় তার সঙ্গী যেন যত্নশীল হয়! একজন যত্নশীল স্বামী/স্ত্রী পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের বিষয়। মনে রাখবেন বিয়ে করলে আপনিও পেতে পারেন একজন সঙ্গী, যিনি আপনার প্রতি হবেন যত্নশীল।
বিয়ের মাধ্যমে আপনি ব্যক্তিগত জীবনে নিরাপত্তা পেতে পারেন। বেশিরভাগ মানুষই প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন সঙ্গী ছেড়ে চলে যেতে পারেন ভেবে ভয় পান, সেক্ষেত্রে বিয়ে করলে আর এই ভয় থাকবে না! আসলে ভালোবাসার সম্পর্কের শেষ পরিণতিই তো বিয়ে, এজন্য বিয়ের মাধ্যমে সবাই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা করেন। তাই বিয়ের পর আর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় না।
স্বাস্থ্য ভালো থাকে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিতদের স্বাস্থ্য তুলনামূলকভাবে ভালো থাকে। বিয়ের মাধ্যমে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা মেলে তা হলো- দীর্ঘজীবী হওয়া যায়, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। একই সঙ্গে হতাশা কমে, ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে, এমনকি ক্যানসার হলেও সারভাইভ বা বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আবার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
তবে শুধু বিবাহিত হলেই যে এসব স্বাস্থ্য উপকারিতা মিলবে তা কিন্তু নয়, বিবাহিত জীবনে আপনি সুখী কি না তার উপর নির্ভর করবে আপনার সুস্বাস্থ্য। স্ট্রেসপূর্ণ ও অসুখী বিবাহিতরা আবার একজন অবিবাহিত ব্যক্তির চেয়ে খারাপ স্বাস্থ্যের অধিকারী হন। বিয়ের স্বাস্থ্য সুবিধাগুলোর বেশিরভাগই বিবাহিত নারীদের তুলনায় পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি স্পষ্ট।
অভিভাবকত্ব গ্রহণ
বিয়ের মাধ্যমে আপনি অভিভাবকত্বও উপভোগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে সন্তানদের ভালো করে লালন-পালন করা খুবই জরুরি। একটি সন্তানকে আরও ভালোভাবে বড় করতে আপনাকে ও আপনার স্ত্রী উভয়কেই নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে হবে।