বৃহস্পতিবার থেকে ট্রেন চলবে

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আগামী বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) থেকে কারফিউ শিথিল থাকা অবস্থায় স্বল্প দূরত্বের ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর ২টায় রেল ভবনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেন চলাচল শুরু সংক্রান্ত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেকার আলম রাজন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে কারফিউ শিথিল থাকা অবস্থায় স্বল্প দূরত্বের ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
রেলওয়ের সূত্র জানায়, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-গাজীপুর এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল পথের কমিউটার ট্রেনগুলো বেশি চলাচল করবে। কারফিউ শিথিল থাকার সময়ে এসব ট্রেন দিনে তিন-চারবার যাতায়াত করতে পারবে। দূরবর্তী যাত্রার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যে চলাচল করবে তিতাস কমিউটার ট্রেন। স্বাভাবিক সময়ে তিতাস ট্রেন দিনে চারবার আসা-যাওয়া করে। বৃহস্পতিবার থেকে একবার আসা-যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজধানী ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ পথে স্বাভাবিক সময়ে বিশবারের বেশি কমিউটার ট্রেন যাতায়াত করে। তবে এবার শুরুতে চার-পাঁচবার আসা-যাওয়া করতে পারে।
এছাড়া রেলের পশ্চিমাঞ্চলে (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ) কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল করতে পারে। এর মধ্যে রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চলাচল করবে কমিউটার ট্রেন। এছাড়া ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রাজবাড়ী পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এর বাইরে রাজশাহী থেকে রাজবাড়ী ও ফরিদপুর রুটেও লোকাল ট্রেন চলতে পারে। চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারি পথে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশ রেলওয়ের।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হওয়া বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। এতে উপস্থিত ছিলেন- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ১৮ জুলাই থেকে বন্ধ হয়ে যায় যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল। বর্তমানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে মালবাহী কিছু ট্রেনও চলতে পারে বলে রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।