ব্যবসায়ী গোলাম কুদ্দুস মারা গেছেন

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ড্রাগন গ্রুপের কর্ণধার মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।শিল্পপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের জামাতা শেখ মুহাম্মদ ড্যানিয়েন বলেন, ‘আজ জোহরের পর গুলশান আজাদ মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।’
মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর ড্রাগন গ্রুপে রয়েছে—ড্রাগন সোয়েটার এবং স্পিনিং মিলস কোম্পানি, ড্রাগন সোয়েটার বাংলাদেশ,ইম্পিরিয়াল সোয়েটার বাংলাদেশ, পেরাগ সকস ইন্ডাস্ট্রিজসহ বেশ কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। ড্রাগন গ্রুপে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে।
এ ছাড়াও গোলাম কুদ্দুস সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডর সাবেক এবং রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান।

পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন গোলাম কুদ্দুস। ১৯৮১ সালের ৩০শে মে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যখন চট্টগ্রামে নিহত হয়েছিলেন, তখন হাটহাজারী থানার ওসির দায়িত্ব ছিলেন গোলাম কুদ্দুস। তার নেতৃত্বেই জেনারেল মঞ্জুরকে দুর্গম পাহাড় থেকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরিজীবন শেষ করেন।

চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর গোলাম কুদ্দুস ব্যবসায়িক কাজে মনোনিবেশ করেন। প্রতিষ্ঠা করেন ড্রাগন গ্রুপ। ড্রাগন গ্রুপে রয়েছে—ড্রাগন সোয়েটার এবং স্পিনিং মিলস কোম্পানি, ড্রাগন সোয়েটার বাংলাদেশ, ইম্পিরিয়াল সোয়েটার বাংলাদেশ, পেরাগ সকস ইন্ডাস্ট্রিজসহ বেশ কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। গ্রুপটিতে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে।