ভারতের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কোনো দেশের সম্পর্ক ভালো নেই। তারা সবসময় এইদেশগুলোর সঙ্গে নিজেদের প্রভুত্ব কায়েম করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজারে জাতীয়বাদীল মহিলা দলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এই কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার। তিনি যথার্থ মনে করে বাংলাদেশের উন্নয়নে নারী সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। সেইজন্য জনসংখ্যার অর্ধেক সংখ্যা নারী সমাজ তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক কাঠামো নির্মাণের জন্য জাতীয়তাবাদী মহিলাদল সৃষ্টি করেছেন। মহিলা মন্ত্রণালয় তিনি সৃষ্টি করেছেন।
আন্দোলন সংগ্রামে মহিলা অবদান নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদি আওয়ামী সরকারের হাত থেকে ছাত্র জনতার মাধ্যমে দেশ মুক্ত হয়েছে। এই বিপ্লবে আন্দোলন সংগ্রামে দেশের অসংখ্য মানুষ জীবন দিয়েছে। সেই সঙ্গে মহিলাদলের অনেকে প্রাণ দিয়েছে। গণতন্ত্রকে উদ্ধারে তাদের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তারা শপথ নিয়েছে যে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার জন্য তারা তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।
বিজ্ঞাপন
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি দেশে যে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে তারা জনগণের মতামতের ওপরে সংস্কার সম্পূর্ণ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। এই সরকার জনগণের ক্ষমতা তাদের কাছে ফিরিয়ে দিবে।
সংস্কার কি করবে তার নির্দিষ্ট করে বলা উচিত কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে দু’বার দেখা করেছি। প্রতিবারই বলে এসেছি তারা যে সংস্কার করতে চান সেগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরতে। এবং কত দ্রুত যোক্তিক সময়ের মধ্য নির্বাচন দেওয়া যায় সেটা তুলে ধরতে অনুরোধ জানিয়েছি।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাদের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলে হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আসলে ভারতবর্ষের পার্শ্ববর্ত। দেশগুলোর সঙ্গে তাদের যে রাজনীতি তাদের যে আচরণ কোন প্রেক্ষিতে কি করছেন তা তারা ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু দূভার্গ্যজনক ভাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি পাশ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছেনা। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভারত সবসময় প্রভুত্ব কায়েম করতে চাই। যেটা ভারতের জন্য শুভ হবেনা। পার্শ্ববর্তী দেশের জন্য শুভ হবেনা। পারস্পরিক মর্যাদাবোধ ও সম্মান ও স্বার্থের ভিত্তিতে এই সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত বলে আমরা মনে করি।