ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফ এনবিআর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে

#নির্বাচনের সময় ঘোষণায় অনিশ্চয়তা কেটে যাওয়ার প্রত্যাশা সংস্থাটির

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কার ঘিরে কর্মকর্তাদের আন্দোলন এবং সার্বিক রাজস্ব সংস্কার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ। এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আইএমএফ প্রতিনিধিদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের পর গতকাল রবিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের মিশন প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও। ডেপুটি মিশন প্রধান আইভো ক্রিজনার এবং বাংলাদেশে আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে সংবাদ সম্মেলনে সংযুক্ত ছিলেন।
রাজস্ব নীতি এবং ব্যবস্থাপনা আলাদা করতে আইএমএফের পরামর্শ রয়েছে। সরকার এ দুটি কার্যক্রম আলাদা করতে যে অধ্যাদেশ জারি করেছিল, তার বিরোধিতা করে এবং এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে সারাদেশে কর কর্মকর্তাদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে। এতে রাজস্ব আদায় কার্য্রক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এ অবস্থায় আইএমএফের দেয়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে আইএমএফ মিশন প্রধান বলেন, আমরা যেসব সংস্কারের তাগিদ দিচ্ছি, তা নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আমাদেরকে হালনাগাদ পরিস্থিতি জানাচ্ছেন। জনগণকে এটি স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন যে, সরকার যেসব প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা দরকার।

আরও পড়ুনঃ আইএমএফের দুই কিস্তির ১৩০ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশে নির্বাচন এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য এখনকার সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অর্থনীতিতে অনেক চ্যালেঞ্জিং উপাদান রয়েছে। বাংলাদেশ এখন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে এবং ভূ-রাজনৈতিক, স্থানীয় ইস্যুতে নানা অনিশ্চয়তা রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নই। তবে আমরা মনে করি, নির্বাচনের সময় নির্ধারণে বিনিয়োগের স্পর্শকাতরতার সম্পর্ক রয়েছে, যা বাংলাদেশের ওপর কান্ট্রি রিপোর্টে আইএমএফ উল্লেখ করেছে। বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। নির্বাচনের সময় ঘোষণা করা হয়েছে। এখন আমরা প্রত্যাশা করি অনিশ্চয়তা কেটে যাবে। নির্বাচনের সময় স্থির হওয়ায় আমরা মনে করি, বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ অনেক কম। আমরা মনে করি, নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক হবে।

এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ