ভুয়া সার্টিফিকেটে দিয়ে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতির পদ বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার উত্তর উত্তমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের।
স্কুলের শিক্ষকরা জানান, মো. আবুল বাসার নামের একজনকে উত্তর উত্তমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ওই কমিটিতে সভাপতি পদের জন্য ডিগ্রি পাশ বাধ্যতামূলক থাকলেও যাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে তিনি ইবাইস ইউনিভার্সিটি ভূয়া সার্টিফিকেটে দিয়ে জালিয়াতি করে ডিগ্রি পাশের সনদ দাখিল করেছেন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন। যে, তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট ‘বৈধতা’ নেই । বিশ্ববিদ্যালগুলো হলো, ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, যেহেতু এই সার্টিফিকেট কোনো ‘বৈধতা’ নেই। তাই সার্টিফিকেট দিয়ে তিনি কিভাবে সভাপতি হন। তিনি সভাপতি পদে থাকার যোগ্যতা তার নেই। তাই তাকে দ্রুত এই পদ থেকে বহিস্কার করা হোক।
তারা বলেন, সভাপতি পদের জন্য আরো কয়েকজন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। তবে রহস্যজনক কারণে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কিছু অসাধু ব্যক্তি মো. আবুল বাসার নাম প্রস্তাব করেছেন। তাই ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হওয়া মো. আবুল বাসারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয়রা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি করেন।
এলাকাবাসী জানান, মো. আবুল বাসার ট্রাভেল এজেন্সির টিকিট মূল্যের কারসাজি মাধ্যমে অবৈধ টাকা আয় করেছেন। এজন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছে। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত চলমান রয়েছে । এছাড়া তার অবৈধ টাকা দিয়ে ঢাকাতে একাধিক জমি ও গাড়ি ও ফ্ল্যাট কিনেছেন। তিনি অবৈধ টাকা দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দলের লোকজনকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে থাকেন। অবৈধ টাকা দিয়ে সভাপতি পদ ভাগিয়ে নিয়েছে। একজন কালোবাজারি কিভাবে বিদ্যালয়ের সভাপতি হন প্রশ্ন রেখেছেন এলাকাবাসী।
সূত্রে জানা গেছে, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে (এমওসিএটি) জমা দেওয়া এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অনেক ক্ষেত্রে যাত্রীর নাম ছাড়াই গ্রুপ বুকিংয়ের মাধ্যমে টিকিট বরাদ্দ করে তা মজুদ রাখা হতো। পরে সেগুলো হোয়াটসঅ্যাপের মতো অনানুষ্ঠানিক মাধ্যমে বিক্রি করা হতো দ্বিগুণ বা তিনগুণ দামে বিক্রি করতো মেগা ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলের মালিক মো. আবুল বাসার। তিনি এভাবে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে অবৈধ টাকা আয় করেছে।
এব্যাপারে দুদক জানিয়েছে, মেগা ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের আবেদন পাওয়া গেছে। তদন্ত করে দুনীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে মামলা দায়ের করা হবে।
এ ব্যাপারে উত্তর উত্তমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, তার আবেদন ইউএনও ও ডিসি মহাদয়ের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে বোর্ডের মাধ্যমে সভাপতি করা হয়েছে। এখানে এককভাবে তাকে সভাপতি করা হয়নি। তাই যদি তার কোনো কিছু অবৈধ থাকে, সেটা ইউএনও ও ডিসি মহাদয়ের ব্যর্থতা।
এব্যাপারে মো. আবুল বাসারের বক্তব্য নেয়ার জন্য একাধিক বার টেলিফোন করলেও তিনি টেলিফোন ধরেনি।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ