ভোজ্যতেলে পুষ্টিমান সুরক্ষায় গুণগত প্যাকেজিং জরুরি

#আগামীকাল বিশ্ব পুষ্টি দিবস

আগামীকাল (২৮ মে) বিশ্ব পুষ্টি দিবস ২০২৫। জনসাধারণের মধ্যে পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বিষয়ে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে দিবসটি উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশে জনগণের ভিটামিন ‘এ’-জনিত অণুপুষ্টির ঘাটতি মোকাবেলায় ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে গুণগত প্যাকেজিংয়ের অভাব এবং অস্বাস্থ্যকর নন ফুডগ্রেডেড কেমিক্যালের ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাত হওয়ায় তেলের সঠিক পুষ্টি উপাদান প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ। ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে অন্ধত্ব, গর্ভকালীন মাতৃমৃত্যুসহ নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।


বাজারে যেসব বোতলে ভোজ্যতেল বিক্রি হয়, তার বেশিরভাগই স্বচ্ছ। ফলে, সূর্যালোক এবং সাধারণ বাল্বের আলোর সংস্পর্শে এসে তেলের ভিটামিন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। অন্যদিকে, ড্রামে বাজারজাতকৃত ৫৯ শতাংশ খোলা ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ নেই বলে আইসিডিডিআরবি-এর গবেষণায় উঠে এসেছে।

ভোজ্যতেলে অণুপুষ্টি বজায় রাখতে আলো প্রতিরোধী অস্বচ্ছ প্যাকেজিং যেমন, পাউচপ্যাক, লেমিনেটেড পিইটি বোতল, এইচডিপিই জার, ইউভি দ্রব্য মিশ্রিত বোতল ব্যবহার করা যায়। অস্বচ্ছ বোতল বাইরের আলোক রশ্মিকে আটকে দেয় এবং তেলের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন রাখতে সাহায্য করে। এই ধরনের প্যাকেজিং অতিবেগুনী রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে তেলকে রক্ষা করে। এতে তেলের ভেতরে থাকা ভিটামিন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলো দীর্ঘসময় ভালো থাকে।

বিশ্ব পুষ্টি দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে এক প্রতিক্রিয়ায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, “ভোজ্যতেলের পুষ্টিমান বজায় রাখতে আলো প্রতিরোধী অস্বচ্ছ প্যাকেজিং নিশ্চিত করা জরুরি। একইসাথে, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় অস্বাস্থ্যকর ড্রামে খোলা ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ বন্ধে সরকারি নির্দেশনার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।”