প্রতিনিয়তই নিজেকে নতুনভাবে মেলে ধরছেন অভিনেত্রী ও মডেল রুনা খান। বয়স চল্লিশের কোটায় থাকলেও মডেলিং যেন কোনো বাধা নয় তার কাছে। কখনও বাঙালি সাজে আবার কখনো ওয়েস্টার্ন পোশাকে, ভক্তদের মুগ্ধ করতে যেন সর্বদা একটা নিবেদিত প্রাণ রুনা খান।
ইদানীং সামাজিক মাধ্যমের পাতায় চোখ রাখলেই ভেসে আসে রুনা খানের ‘আবেদনময়ী’ অবতার। মূলত একটি ম্যাগাজিনের কাভার মডেল হিসেবে সম্প্রতি কাজ করেছেন রুনা। সেখানে যেই ছবিগুলো সংযোজন করা হয়েছে, সেই ছবি নিয়েই সমালোচনার মুখে পড়েন অভিনেত্রী। তবে বিষয়গুলো নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন অভিনেত্রী। এক সাক্ষাৎকারে রুনা বলেছিলেন, পোশাক কারও শালীনতা ধরে রাখে না।
এবার সদ্য অনুষ্ঠিত এক ফিল্মফেয়ার অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হন রুনা খান। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিওতে রুনাকে তার সমসাময়িক মডেলিং নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। এ সময় খানিকটা বিরক্ত হয়ে রুনা খান বলেন, ‘গত দুই বছরে আমি যেই ডিজাইনারদের মডেল হয়ে কাজ করেছি, এদের প্রত্যেকের মডেল হয়ে মিম-মেহজাবীনরা কাজ করেছে। সবাই কাজ করে, ঘরের ভেতর, বাক্সের ভেতর বন্দি করে রাখার জন্য না। ফেসবুকে পোস্ট করবে লোকে দেখবে, পছন্দ করবে- সে সমস্ত জানাবে।’
রুনা খান বলেন, ‘তো, অন্যদেরটা ভাইরাল হয় না, সেই দায় তো আমার না। আপনারা যে দুই বছর ধরে একই প্রশ্ন করে যাচ্ছেন, অকারণে, এবং একটা ভুলভাবে একটা জিনিসের ব্যাখ্যা করছেন। আমি মডেল হিসেবে কাজ করছি, মডেল হিসেবে আরও পাঁচজন সহকর্মী কাজ করছেন- একই ডিজাইনারদের পোশাক পরে কাজ করছি।’
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে খোলামেলা পোশাক নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে রুনা খান বলেন, ‘যে আপারা সবচেয়ে বেশি সততার আশ্রয় নেন, পর্দার বাইরে অসৎ কাজ করেন কাজ পাওয়ার জন্য, তারাই পর্দায় সবচেয়ে শালীন সেজে থাকার চেষ্টা করেন।’
টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু হয় রুনা খানের। ‘হালদা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া ছিটকিনি ছবিতে কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর জন্য মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার অর্জন করেন।
নাটক, সিনেমা বাদেও বিজ্ঞাপন ও মডেলিংয়েও বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় রুনা খানকে।