‘মানুষ ৭২-এর সংবিধানের বিপরীত অবস্থানে, এটির ডকুমেন্টেশন থাকা উচিত’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আমাদের বিপ্লবের যে ঘোষণাপত্রটি সেটি পাঁচ আগস্টই করা হওয়া উচিত ছিল। আপনারা দেখেছেন এটি না হওয়ার কারণে এই যে পক্ষের যে শক্তিগুলো সব জায়গাতে- মিডিয়াতে, বুদ্ধিজীবী পাড়ায়; তারপর হচ্ছে আমরা যাদেরকে উৎখাত করেছি- বিদেশে বসে তারা ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে এবং এটা এক ধরনের লেজিটিমেসিকে প্রশ্ন করছে। ২০০০ ঊর্ধ্ব শহিদ এবং ২০ হাজারের ঊর্ধ্ব আহতদের রক্তের উপরে দাঁড়িয়ে তারা এই অভ্যুত্থানের লেজিটিমেসিকে (বৈধতা) প্রশ্ন করছে।

রোববার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটর কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি জরুরি এ সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আপনারা জানেন- জুলাই অভ্যুত্থান যে গণভুত্থানটি হয়েছে- এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মানুষ ৭২-এর মুজিববাদী সংবিধানের বিপরীত অবস্থান নিয়েছেন। এই যে মানুষ ৭২-এর মুজিববাদী সংবিধানের বিপরীত অবস্থান নিয়েছেন এটির একটি লিগ্যাল ডকুমেন্টেশন থাকা উচিত।

তিনি আরও বলেন, সেটির প্রাতিষ্ঠানিক দালিলিক স্বীকৃতি ঘোষণা করার জন্য আমরা ৩১ ডিসেম্বর বেলা তিন ঘটিকায় ছাত্রজনতার উপস্থিতিতে শহিদ মিনার থেকে যেখান থেকে আমাদের এক দফা ঘোষণা করা হয়েছে- ঠিক সেই জায়গা থেকে আমরা আমাদের প্রক্লেমেশন অব জুলাই রেভুলেশন আমরা ঘোষণা করব। এ প্রক্লেমেশন অব জুলাই রেগুলেশনের মধ্যে আমাদের পরবর্তী বাংলাদেশের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা, অভিপ্রায়, লক্ষ্য এবং ইশতেহার সেখানে হচ্ছে লিপিবদ্ধ থাকবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, এটি কোনো দলের দলের কোনো প্রক্লেমেশন না। এটি নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণির প্রক্লেমেশন না বরং আমাদের এই যে ঐতিহাসিক যে আমরা প্রতারিত একটি প্রজন্ম ঐতিহাসিকভাবে- আমাদের যে স্বপ্নগুলো ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্তরে স্তরে আমাদের বঞ্চিত হয়েছে; আমরা প্রতারিত হয়েছি- এই প্রক্লেমেশনের মধ্য দিয়ে আমাদের এই বঞ্চিতের ধারাবাহিকতা যেন আর না থাকে এবং আমাদের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার যেন প্রতিফলন ঘটে- সেটির একটি ইশতেহার জনগণের সামনে জাতির সামনে সেখানে ঘোষণা করা হবে।