মারামারি থামাতে গিয়ে হামলার শিকার ববি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

বাস শ্রমিকদের সঙ্গে থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মারামারি থামাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, থ্রি-হুইলারে যেন যাত্রী নিতে না পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন খয়রাবাদ সেতুর ঢালে চেকপোস্ট বসায় রূপাতলী বাসমালিক সমিতি। এ নিয়ে থ্রি-হুইলার চালকদের সঙ্গে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বিরোধ তৈরি হয়। বেলা ১১টার দিকে বাস ও থ্রি-হুইলার চালকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে যান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান থ্রি-হুইলার চালকরা বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। হামলায় লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিল আজাদ, তরিকুল ইসলাম আজমাইন ও রবিউল ইসলাম আহত হন।

শিক্ষার্থী তানজিল আজাদ বলেন, মারামারি দেখে আমরা এগিয়ে গিয়ে দেখি ষাটোর্ধ্ব এক যাত্রীকে থ্রি-হুইলার চালকরা মারধর করছেন। তখন আমি তাকে ছাড়িয়ে দিই। তখন চালকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করেন।

তরিকুল ইসলাম আজমাইন বলেন, সিএনজি চালকরা বাসে উঠে সাধারণ যাত্রীদের আঘাত করছিলেন। তখন আমরা তাদের মারামারি না করতে বলায় সিএনজি চালক ও স্থানীয় সাত-আটজন মিলে আমাদের মারধর করেন।

মারধরের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক সড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলতে থাকায় কুয়াকাটা-বরিশাল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পরে সাধারণ মানুষ। পরবর্তীতে বাস মালিক সমিতি, সেনাবাহিনী ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সমঝোতার আশ্বাসে দুপুর ১টার দিকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন। বর্তমানে সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার সমাধানে আমরা বৈঠকে বসেছি। আশা করছি সুষ্ঠু সমাধান হবে।