এ মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তা না হলে রাজনৈতিক দলগুলো বসে সিদ্ধান্ত নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ত্যাগ ও নেতৃত্ব শীর্ষক আলোচনা সভা ও নন্দিত নেত্রী খালেদা জিয়া বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সালাহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্যে করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখনো ইনিয়েবিনিয়ে বলছেন।
আমি আহ্বান করবো মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আপনার আর ইনিয়েবিনিয়ে বলার প্রয়োজন নেই। বিদেশি সংবাদ সংস্থাকে আপনি সাক্ষাৎকার দিতে পারেন , যে আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। আপনি কেন দেশে একটা সংবাদ সম্মেলন করে রোডম্যাপ ঘোষণা করতে পারেন না। আপনি তো সংবাদ সম্মেলন করে বলতে পারেন আমি এই তারিখের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করছি।
যতি আপনাদের সৎ উদ্দেশ্য থাকে।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সংবিধান সংস্কারের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
ছাত্রদের নতুন দলকে স্বাগত জানিয়ে তাদের উদ্দেশে গণপরিষদ ও স্থানীয় নির্বাচন এবং দ্বিতীয় স্বাধীনতার বিষয়টিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়ত করার ষড়যন্ত্র বলেও মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
গণপরিষদ নির্বাচনের দাবির বিষয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, সংবিধান থাকার পরও গণপরিষদ প্রয়োজন কেন? তিনি মনে করেন, যারা এসব প্রশ্ন সামনে আনছেন, হয় তারা বোঝে না অথবা তারা গভীর ষড়যন্ত্রে যুক্ত আছে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকলে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পথ রচিত হতো না। বিএনপি জানতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় গিয়ে স্বৈরাচার হয়ে উঠবে। বিএনপি জানতো আওয়ামী লীগের পতন হবে। কিন্তু কবে হবে সেটার জন্যই অপেক্ষায় ছিলো।
তিনি বলেন, যদি আওয়ামী লীগ আবার এদেশে রাজনীতির সুযোগ পায় সেটা হবে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা।
শুধু পুলিশ দিয়ে আওয়ামী লীগ মোকাবেলা করলে হবে না এদেরকে সমন্বিতভাবে বিতাড়িত করতে হবে। পাঁচ আগস্ট নির্ধারণ হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ এই দেশে রাজনীতি করতে পারবে না, এই রায় জনগণ পাঁচ আগস্ট দিয়েছেন।