মেহেরীন এর অদম্য সাহস ও আত্মত্যাগের গাথা বন্ধু মেহেরিন চৌধুরীর জন্য প্রার্থনা

৯৫৯৭ ফাউন্ডেশন এর সকল সদস্য এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি: আজ আমাদের হৃদয় গভীর বেদনায় ভারাক্রান্ত, তবুও গর্বে আমাদের বুক ভরে উঠছে। ২১শে জুলাই, ২০২৫, ঢাকার আকাশে নেমে আসা এক ভয়াবহ দুর্যোগ আমাদের সকলকে শোকে মুহ্যমান করেছে। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা হারিয়েছি ১৯টি নিষ্পাপ প্রাণ। এই শোকের মাঝেও, আমাদের ৯৫ ব্যাচের বন্ধু, মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষিকা মেহেরিন চৌধুরী এক অসাধারণ মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা আমাদের চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে।

যখন আগুনের লেলিহান শিখা আর ধ্বংসের বিভীষিকা গ্রাস করছিল স্কুল প্রাঙ্গণ, তখন মেহেরিন তার নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন শিশুদের বাঁচাতে। প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ শরীর নিয়েও সে মরনপণ লড়াই করেছে, অন্তত ২০ জন অবুঝ শিশুকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছে। তার এই অদম্য সাহস, এই আত্মত্যাগ, এই মানবতাবোধ সত্যিই বিরল। সে কেবল একজন শিক্ষিকা না, একজন সত্যিকারের মানুষ ছিল । তার এই বীরত্বপূর্ণ কাজ আমাদের ফাউন্ডেশনের সকল সদস্যকে গর্বিত করেছে।

বিশজন শিশুকে বাঁচিয়ে আজ মেহেরিন মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে । তার দগ্ধ শরীর হয়তো যন্ত্রণায় কাতর ছিল , কিন্তু তার আত্মা যে কতটা শক্তিশালী, তা তার এই মহৎ কর্মই প্রমাণ করে। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

এই শোকের দিনে, ৯৫৮৭ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমরা সকল সদস্যকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি, আমাদের প্রিয় বন্ধু মেহেরিন চৌধুরীর আত্মার মাগফিরাত এর জন্য সম্মিলিতভাবে প্রার্থনা করতে । তার এই আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়, সে আমাদের মাঝে তার মানবিক কাজের জন্য বেঁচে থাকুক যতদিন আমরা আছি। আমি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কমিটির কাছে অনুরোধ করব মেহেরিনের এহনে আত্মত্যাগের জন্য তাকে মরণোত্তর সম্মাননার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

মেহেরিন, তুমি আমাদের গর্ব, আমাদের অনুপ্রেরণা।

শোকার্ত ও গর্বিত চিত্তে,

[প্রীতেশ তালুকদার]

২১শে জুলাই, ২০২৫