মোদি-বাইডেনের ফোনালাপে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত
মোদি-বাইডেনের ফোনালাপে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টেলিফোনে আলাপে বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কারবির বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জন কারবি জানান, টেলিফোনে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশে চলমান ঘটনা নিয়ে ‘উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।’ কারবি বলেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি, প্রেসিডেন্ট (বাইডেন) বাংলাদেশের জনগণের নিরাপত্তা এবং তাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তাঁর অব্যাহত উদ্বেগ স্পষ্ট করেছেন।’
এর আগে, ২৬ আগস্ট প্রকাশিত হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে এই ফোনালাপে বাংলাদেশের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এমন কোনো কথাই বলা হয়নি। ২৬ আগস্ট প্রকাশিত হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর বাইডেন আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সফরের পাশাপাশি সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠক নিয়ে তাঁরা কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট পোল্যান্ড ও ইউক্রেনে তাঁর (মোদির) ঐতিহাসিক সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন—যেটি কয়েক দশকের মধ্যে ভারতীয় কোনো প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই দুই নেতা জাতিসংঘ সনদের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য তাঁদের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁরা দুজন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য কোয়াডের মতো আঞ্চলিক গোষ্ঠীর মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করার জন্য তাঁদের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির ওপরও জোর দিয়েছেন।’তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, মোদি ও বাইডেন বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছেন এবং স্বাভাবিক অবস্থার দ্রুত পুনঃপ্রতিষ্ঠা সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, এই দুই নেতার মধ্যে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকারি সূত্রগুলো বলছে, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার বিষয়ে আমাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি মন্তব্য দেখেছি। এগুলো সম্পূর্ণ ভুল। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পরিস্থিতিসহ আমাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এটি কথোপকথনের একটি সঠিক প্রতিফলন।’
সূত্র বলেছেন, ‘আলোচনার পর আলাদা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ একটি সাধারণ বিষয়। যেখানে আলোচিত সব বিষয় প্রতিফলিত হতেও পারে, না–ও করতে পারে। কেবল যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বা যৌথ বিবৃতির ক্ষেত্রে উভয় পক্ষই একই রকম তথ্য প্রকাশ করে।’