মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস স্মরণে বিজিএমইএ’র শোকসভা

প্রখ্যাত শিল্পপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস এর স্মরণে বিজিএমইএতে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ৪ ফেব্রুয়ারি বিজিএমইএ দপ্তরে এ শোকসভা অনুষ্ঠীত হয়। মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এবং ড্রাগন গ্রুপ, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোঃ লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা ।

সম্মিলিত পরিষদের উদ্যোগে বিজিএমইএ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই শোকসভায় বিজিএমইএএর সাবেক সভাপতি ও সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএএর প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিজিএমইএএর সাবেক সভাপতিবৃন্দ – রেদোয়ান আহমেদ, এসএম ফজলুল হক, আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ), ফারুক হাসান, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের দুই প্যানেল লিডার আবুল কালাম ও মাহমুদ হাসান খান (বাবু) এবং প্রয়াত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের পুত্র মোস্তফা কিউ সুবহান (রুবেল) ও কন্যা তাসনিয়া কামরান আনিকা।

সভায় বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাধারণ সদস্যগন ও অংশগ্রহন করেন। আলোচনা সঞ্চালনা করেন আব্দুল্লাহ হিল রাকিব।
শোকসভায় প্রয়াত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন বিজিএমইএ সদস্যরা। পাশাপাশি তারা প্রয়াত নেতার জীবনের বিভিন্ন দিক, বিশেষ করে একজন দূরদর্শী নেতা হিসেবে পোশাক শিল্পের কল্যাণে তিনি যেভাবে শিল্পকে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেগুলো গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
বক্তারা বলেন, পোশাক শিল্প আজ যে পর্যায়ে এসেছে, তার পেছনে রয়েছে প্রয়াত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের অসামান্য অবদান। বিশেষ করে তারই হাত ধরে এদেশে সুয়েটার শিল্পের বিকাশ লাভ হয়েছে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, লাখো লাখো মfনুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
শুধু তাই নয়, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস শিশু শ্রম সংক্রান্ত হারকিনবিলস মোকাবেলাতেও অগ্রনী ভূমিকা পালন এবং ‘আর্ন অ্যান্ডলার্ন’ কার্যক্রম চালু করেছিলেন, যা বিশ্বব্যাপী বহুল প্রশংসিত হয়েছিলো।