মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আধুনিক করে গড়ে তোলা হবে: মৎস্য উপদেষ্টা

পর্যটন নগরীর সৌন্দর্যবৃদ্ধিতে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণকেন্দ্র ও পাইকারী মৎস্য বাজার আধুনিক ও আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজারে জাইকার সহায়তায় বিএফডিসি মৎস্য অবতরণকেন্দ্র ও পাইকারি মৎস্য বাজার আধুনিকায়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, আগে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকার ফলে ভারতের জেলেরা সুবিধা পেতেন। বাংলাদেশে যখন মাছ ধরা বন্ধ থাকত তখন ভারতীয় জেলেরা মাছ ধরে নিয়ে যেত বলে বাংলাদেশি জেলেরা বারবার অভিযোগ করেছেন। একারণে বাংলাদেশ ফিশারীজ রিসার্চ ইন্সটিটিউটের গবেষক দল এবং কারিগরি দল মাছ ধরা বন্ধের নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে। ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন ৫৮ দিন বন্ধ থাকবে। এতে করে অন্য দেশের জেলেরা মাছ ধরতে পারবে না।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বিএফডিসি চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান। এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত স্যাইদা শিনিচি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: তোফাজ্জেল হোসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুর রউফ, জাইকার বাংলাদেশ প্রধান ইচিগুচি টামোহাইদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

এ সময় সরকারি বিভিন্ন দফতর ও জাইকার কর্মকর্তা,মৎস্যজীবী, মৎস্য ব্যবসায়ী, ফিশিং বোট মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে অবতরণ, অবতরণ পরবর্তী অপচয় হ্রাসকরণ, মৎস্য বিপণন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় মৎস্যজীবি ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা জোরদারকরণে জেলার বাঁকখালী নদীর পশ্চিম তীরে ৩.৭০ একর জমিতে স্থাপিত করা হচ্ছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও পাইকারী মৎস্য বাজার।

২৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক স্থাপনাটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরে।