রমজানে ভোক্তাদের পকেট না কাটার অনুরোধ

আগামী রমজান মাসে ভোক্তাদের ‘পকেট না কাটতে’ ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে বণিক বার্তা আয়োজিত পলিসি কনক্লেভে এসব কথা বলেন তিনি। ‘খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম: বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান’ শিরোনামে এ পলিসি কনক্লেভ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অতিথির বক্তব্যে এস এম নাজের হোসাইন বলেন, আজকে যে বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে তা হলো, সরকারের পর্যাপ্ত তথ্য নেই। সেটি সরকারের থাকতে হবে। তবে তার চেয়েও বেশি জরুরি, আমাদের ব্যবসায়ীদের আচার ব্যবহারে একটি অনুশীলন। দেখা যায়, পেয়াঁজ আমাদের ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। সেখানে যখন দাম বেড়ে যায় তখন আমাদেরও দাম বাড়ে।

পুরো বছরজুড়ে দেশে চালের ঘাটতি দেখা যায়। আগামী রমজানের যে পণ্য সেগুলোর পর্যাপ্ত আমদানি আছে। তবুও দেখা যাবে, ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেবে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করবে। এখানে আমাদের ব্যবহারের অনুশীলনে পরিবর্তন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এনবিআর সম্প্রতি শুল্ক বাড়িয়েছে। শুল্ক বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সে রাতেই অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের অনুশীলনে যদি পরিবর্তন না আসে তাহলে কীভাবে দাম কমবে? ভোক্তারা শুল্ক দিতে চায়, কিন্তু সেটার সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ কিন্তু দোকানে নেই। তাহলে আমার শুল্কটা কোথায় যাচ্ছে?

রমজানকে সামনে রেখে সরকারকে অনুরোধ করবো, আপনারা বাজারে আমাদের পকেট কাটবেন না। বাজারে দেখা যায় ব্যবসায়ীরা বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কথা বলে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। সেখানে ব্যবসায়ীদেরকে ভোক্তা, প্রান্তিক কৃষকের কথা ভাবতে হবে। তেমনি ব্যবসায়ীদের নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দুই একজন ব্যবসায়ীর কারণে আমাদের উপর একটি নেতিবাচক ধারণা চলে আসে। আমাদেরও ন্যায্য অধিকার দরকার আছে, সমতার দরকার আছে। বর্তমান সরকার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু এখনো ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এখন ভোক্তাদের চাহিদা কমছে, ছোট হয়ে আসছে। অনেকে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে যাচ্ছে এমন খবরও পাচ্ছি। আমরা তো এমনটা চাইনি। ভ্যাট আমরা দিতে চাই। কিন্তু এনবিআরকে সেখানে সুষ্ঠু তদারকি করতে হবে।