রাজধানীর রাস্তায় লাখো মানুষের ঢল

পদত্যাগ করে দেশে ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। সঙ্গে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানাও দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। সোমবার (৫ আগস্ট) বেলা আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা ঢাকা ছাড়েন। শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগ ও পদত্যাগের খবর শুনে রাজধানীর রাস্তায় নেমে এসেছে লাখো মানুষ। রজধানীর যাত্রাবাড়ী, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বাড্ডা, উত্তরা মিরপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস করছেন।

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়া নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রচার হওয়ার পরই রাস্তায় নেমে আসেন সাধারণ মানুষ। শুরু হয় বিজয় উল্লাস। শেখ হাসিনার শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্তির খবরে রাজধানীবাসী ছুটে আসেন গণভবন এলাকায়। কেউ পায়ে হেটে, কেউ রিকশায়, কেউ এসেছেন মোটরসাইকেলে।

এসময় সকলের মুখেই বিজয় প্রাপ্তির হাসি দেখা গেছে। তাদের কণ্ঠে ফুটে উঠেছে স্বৈরাচার বিরোধী, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিরোধী নানা স্লোগান। আবালবৃদ্ধবনিতাদের পদচারণা মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো গণভবন এলাকা। মিরপুর সড়ক জুড়ে যেনো পা ফেলার জায়গা নেই।

এর আগে সোমবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, এখন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। আমরা এখন রাষ্ট্রপতির কাছে যাবো, সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা করবো। আমরা আমাদের ওপর আস্থা রাখুন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। এখন একটি ইন্টেরিয়ম গর্ভমেন্ট গঠন করে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করবো। আমরা সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা সবাইকে এখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আমরা সুতরাং একটা আলোচনা করেছি। সোমবার রাতের মধ্যেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার ঘরে ফিরে যান। সেনাবাহিনী ও পুলিশকে গোলাগুলি করবে না। আপনারা দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন। মারামারি আমরা আর কিছু পাবো না। সুতরাং দয়া করে আমরা সমস্ত ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বিরত হন। প্রতিটা অন্যায়ের বিচার হবে।