ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসননীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের দমাতে না পেরে অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে কারফিউ জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ৮টা থেকে বুধবার (১১ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ চলবে। অপরদিকে অভিবাসীবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে লস অ্যাঞ্জেলেসে যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে, তার ঢেউ লেগেছে টেক্সাসসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। খবর বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস ও এপির।
লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র মঙ্গলবার (১০ জুন) সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, ২৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট হয়েছে এবং ‘আমরা চরম এক পর্যায়ে পৌঁছেছি’।
আরও পড়ুনঃ লস অ্যাঞ্জেলেসে এবার ‘আগুন টর্নেডোর’ শঙ্কা, লাল পতাকা সতর্কতা
মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জানায়, গেল শুক্রবার থেকে যেখানে বিক্ষোভ চলছে, শহরের সেই জায়গার ১ বর্গমাইল (২.৫৯ বর্গকিলোমিটার) অংশে কারফিউ বলবৎ থাকবে। লস অ্যাঞ্জেলেস শহরটি প্রায় ৫০০ বর্গমাইল (২,২৯৫ বর্গকিলোমিটার) জুড়ে বিস্তৃত।
তবে নির্ধারিত এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দা, গৃহহীন ব্যক্তি, শংসাপত্রপ্রাপ্ত মিডিয়া, জননিরাপত্তা ও জরুরি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে কারফিউ প্রযোজ্য হবে না বলে জানিয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ প্রধান জিম ম্যাকডোনেল।
জিম ম্যাকডোনেল বলেন, ‘শনিবার থেকে বেআইনি এবং বিপজ্জনক আচরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শহরজুড়ে টানা কয়েকদিন ধরে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার পর জীবন এবং সম্পত্তি রক্ষার জন্য কারফিউ একটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।’
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের প্রধান জিম ম্যাকডোনেল জানিয়েছেন, গত চার দিনে কমপক্ষে ৩৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে যে ধরপাকড় শুরু হয়েছে তা ব্যাপক বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। আর এই বিক্ষোভ এখন আর ক্যালিফোর্নিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও শহরে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ চতুর্থ দিনে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে বোস্টন, হিউস্টন, টেক্সাস ও ফিলাডেলফিয়াসহ বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসননীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ঠেকাতে গত রোববার (৮ জুন) লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর গ্যাভিন নিউসম এই পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছেন।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ।