ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে লাইসেন্স ও ট্যাক্সের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পুলিশ, ছাত্র, জনতা ও রমনা মডেল থানা এলাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা শহরে ট্রাফিক একটা বড় মাথা ব্যথার কারণ উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ম্যানুয়াল পায়ে চালিত রিকশার সাইজ ছোট কিন্তু অটোরিকশার সাইজ বড়। অটোরিকশা যে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে অচিরেই বন্ধ করা না গেলে কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবে না। ঘর থেকে বের হলেই দেখবেন অটোরিকশার জ্যাম গেলে গেছে আর কোনো জায়গা নেই। সবাই এখন অটোরিকশার ব্যবসায় লেগে গেছে। ৮০-৯০ হাজার টাকায় কিনে প্রতিদিন লাভ পাচ্ছে। সবাই অটোরিকশার পেছনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, সরকারকে বলেছি অটোরিকশাকে সীমিত করে আনতে। অর্থাৎ একটা শহরে কতটি অটোরিকশা চলবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে। অটোরিকশাকে লাইসেন্স ও ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে। জনগণের টাকার রাস্তা ব্যবহার করবেন অথচ ট্যাক্স দেবেন না? এটা পৃথিবীর কোথাও নেই। অটোরিকশাগুলো বিদ্যুৎও ব্যবহার করছে।
ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী আরও বলেন, ঢাকা শহরের কোনো রাস্তা পরিকল্পনা করে তৈরি করা হয়নি। যত্রতত্র রাস্তা করে তার পাশে বড় বড় বিল্ডিং করে বসবাস করছে। সবাই যদি নিচে নেমে তাহলে নিচে সবার দাঁড়ানোর জায়গাও হবে না। অ্যাম্বুলেন্স-ফায়ার সার্ভিস ঢুকতে পারে না। ইদানিং যুক্ত হয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দলের যত্রতত্র মিটিং-মিছিল, সভা-সমাবেশ হয় তাহলে ট্রাফিক খুব সমস্যা হয়। কোনো রাস্তা এক ঘণ্টা বন্ধ থাকলে এর রেশ সাত-আট ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এ জন্য রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দলের মিটিং-মিছিল ও সভা-সমাবেশ রাস্তার পরিবর্তে বদ্ধ জায়গায় করলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সুবিধা হয়।
ইদানিং বাড়ি-ঘর করতে গিয়ে কনস্ট্রাকশনের জিনিসপত্র রাস্তায় উপর রেখে রাস্তায় চলাচলের প্রতিবন্ধকতা করছে। এ ক্ষেত্রে ডিএমপির আইনে মামলা করার ব্যবস্থা আছে। তবে আমি সে ধরনের কাজে যেতে চাই না। আমি অনুরোধ করবো রাস্তার উপর ইট-বালু রাখবেন না, সতর্ক থাকবেন।