টানা তিন সপ্তাহ ধরে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে সবজির দাম। বাজারদর নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সংস্থার অভিযানে উল্টো প্রভাব পড়েছে। কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বাজারদর।
বাজারে বিভিন্ন সংস্থার অভিযান চালানোর প্রভাব পড়েছে ডিমের দামে। না কমে উল্টো একদিনেই ২০ টাকা বেড়ে ডজন হয়েছে ১৮০ টাকা।
বেশিরভাগ সবজির দামও বাড়তি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, আর কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকার বেশি। এই সুযোগে বেড়েছে মাছ-মুরগীসহ অন্যান্য পণ্যের দামও।
বাজারে ব্রয়লার ২০০ টাকা, সোনালী মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকার বেশি। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, আর মানভেদে ডালের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা।
শুধু রাজধানী নয়, সব এলাকায় একই পরিস্থিতি। চট্টগ্রামে ২০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো, গাজর ও বরবটি। শাকের আঁটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়।
এমন অবস্থায় বাজারে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। তারা জানান, নিম্ন মধ্যবিত্তরা আগে মাছ ও মুরগি না কিনে শাকসবজি বেশি কিনত। এখন তো দেখছি মাছ ও মুরগির চেয়ে সবজির দাম বেশি।
ক্রেতাদের অভিযোগ, অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতো শাকসবজির বাজারও এখন শক্তিশালী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং না হওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, উৎপাদন এলাকায়ও চড়া সবজি দর। শীতের আগাম সবজি উঠতে শুরু করেছে। তবুও মোকামগুলোতে সরবরাহ কম। তবে কিছুদিনের মধ্যে দাম কমতে পারে।