সংগীতসফর অসমাপ্ত রেখেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন ব্যান্ডতারকা শাফিন আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডা. রুমানা দৌলা। শাফিনের মরদেহ গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন মেজ ভাই ব্যান্ডতারকা হামিন আহমেদ।
মঙ্গলবার জোহরের নামাজের পর গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজার পর বনানী কবরস্থানে শাফিনকে দাফন করা হবে। যেখানে শায়িত আছেন তার বাবা উপমহাদেশের কিংবদন্তি সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পী কমল দাস গুপ্ত এবং মা কিংবদন্তি নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ফিরোজা বেগম।
গতকাল রোববার (২৯ জুলাই) স্বামীর মরদেহ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন ডা. রুমানা দৌলা। সম্পর্কে শাফিন আহমেদ তার ফুফাতো ভাইও। নিবিড় পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যদিয়ে অনেকটা দিন কাটিয়েছেন তারা। সেসব স্মৃতি নিশ্চয়ই সারাটা পথ ভীষণভাবে কাঁদিয়েছে এই চিকিৎসককে। আজ সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় তাদের বহনকারী বিমান স্পর্শ করেছে দেশের মাটি।
এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি বিমানে আনা হয়েছে শাফিন আহমেদের মরদেহ। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শিল্পীর মরদেহ নেওয়া হবে গুলশানে তাদেরই এক স্বজনের বাড়িতে। রাতে লাশবাহী শীতল গাড়িতে রাখা হবে শিল্পীর নিথর দেহ। আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টায় তার মরদেহ নেওয়া হবে গুলশান আজাদ মসজিদে। সেখানেই হবে জানাজা।
দুই সপ্তাহ আগে সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান শাফিন আহমেদ। দেশটির এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে গান শোনানোর সব ব্যবস্থা করাই ছিল। শুরুটাও হয়েছিল ঠিকঠাক। প্রথম কনসার্টের পর ভার্জিনিয়ায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন হার্ট অ্যাটাক করেন শাফিন। চিকিৎসায় একটু সেরেও উঠেছিলেন। পরে তার অবস্থার অবনতি হয়। গত বৃহস্পতিবার চিকিসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাফিন আহমেদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা জ্বালা’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি।