চট্রগ্রাম বিভাগের এগারো জেলার মাদ্রাসা,এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এবছর কোরবানির সাত লাখ চুয়াত্তর হাজার সাতশ ছাপ্পান্নটি গরু,মহিষ ও ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করে লবন দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
চট্রগ্রামের বিভাগ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুমে পাঠানো তথ্য থেকে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
এরমধ্যে গরু ও মহিষের চামড়া সংখ্যা সাত লাখ চুয়াত্তর হাজার সাতশ ছাপ্পান্ন টি। ছাগলের চামড়ার সংখ্যা চুয়াত্তর হাজার তিনশ দুইটি ।
জেলাগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামের সংগৃহীত চামড়ার সংখ্যা দুই লাখ বাহাত্তর হাজার একশটি, কক্সবাজারে সাইত্রিশ হাজার আটশ ঊননব্বই টি,নোয়াখালীতে এক লাখ তেরো হাজার আটশ একত্রিশটি, চাঁদপুরে তেইশ হাজার পয়ষট্টিটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিরানব্বই হাজার সাতশ একাশিটি, খাগড়াছড়িতে পাঁচ হাজার আটশ ঊনপঞ্চাশটি,লক্ষ্মীপুরে এগারো হাজার আটশ সাইত্রিশ টি, ফেনীতে তেরো হাজার পাঁচশ নয়টি,রাঙ্গামাটিতে দুই হাজার আটশ আটচল্লিশটি,বান্দরবানে দুই হাজার দুইশ বিরানব্বই টি ,কুমিল্লায় এক লাখ একানব্বই হাজার সাতশ পচাশিটি। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে এসকল চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে সরকার সরবরাহকৃত বিনামূল্যের লবন দিয়ে।
উল্লেখ্য, এবছর কোরবানির চামড়ার মূল্য বৃদ্ধি এবং এতিমদের হক আদায়ের উদ্দেশ্যে সরকারের পক্ষ থেকে দেশের এতিমখানা,মসজিদ ও মাদ্রাসাসমূহে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মেট্রিকটন লবন সরবারহ করা হয়। যাতে করে স্থানীয়ভাবে দুই থেকে তিন মাস চামড়া সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।