গাজা যুদ্ধ পেরিয়ে গেছে ১১ মাস। বিভিন্ন সময় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আলোচনার টেবিলে উঠলেও তা ভেস্তে গেছে। অবশ্য এ কারণে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে দায়ী করে আসছে ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
এবার হামাস জানিয়েছে, নতুন কোনও শর্ত ছাড়াই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে প্রস্তুত রয়েছে তারা। বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) গোষ্ঠীটির আলোচকরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী প্রস্তাবের ভিত্তিতে গাজায় ইসরাইলের সঙ্গে একটি ‘তাৎক্ষণিক’ যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে করতে আগ্রহী হামাস। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, দোহায় গাজার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে আলোচনাকারী একটি দল বুধবার কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেলসহ মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
গত জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটা উত্থাপন করেছিলেন, যেখানে হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে তিন-পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ছিলো। এতে সায়ও দেয় হামাস।
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি করতে ইসরাইল সফরে যান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরাইলজুড়ে বিক্ষোভ এবং ধর্মঘট হচ্ছে। কিন্তু এরপরও যুদ্ধ চালিয়ে নিতে অনড় নেতানিয়াহু। এখন পর্যন্ত ইসরাইলি নিষ্ঠুরতায় গাজায় প্রাণ হারিয়েছে ৪১ হাজার ফিলিস্তিনি। যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়নে বিলম্ব হওয়ায় গাজাবাসীর দুর্ভোগের শেষ হচ্ছে না।