শিগগিরই সারা দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল হবে : ভূমি উপদেষ্টা

শিগগিরই সারা দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল হবে বলে জানিয়েছেন ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় সনাতনী পদ্ধতি থেকে আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে যাচ্ছি। এ ট্রানজেকশনটা ক্ষেত্র বিশেষে একটু পেইনফুল হয়।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে ভূমি উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এসময় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ক্রমান্বয়ে মানুষের অসুবিধাগুলো দূর হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা চান সারা দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে আসুক। বর্তমানে আমরা ড্রোনের মাধ্যমে জরিপ কাজ পরিচালনা করছি।

তিনি বলেন, আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। আরও নতুন নতুন প্রযুক্তি আসবে। আমরা এসব খাতে প্রশিক্ষিত জনবল ও কোম্পানিগুলোর সহায়তা পেতে শুরু করেছি। আমরাও লোকজনকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছি। আশা করছি সেদিন বেশি দূরে না যে সারা দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল আওতায় আসবে।

আগামী ১০ মার্চের আগে কি ই-নামজারির পেন্ডিং আবেদনগুলো শেষ হয়ে যাবে– এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া, আবেদন প্রক্রিয়া চলমান আছে, প্রতিনিয়ত আবেদন পড়ছে। বিষয়টা হচ্ছে সিস্টেমটা ব্যবহার উপযোগী হবে কি না। আশা করছি সেটা ১০ মার্চের আগেই হয়ে যাবে।

ভূমি ব্যবস্থাপনায় এখনো সাধারণ মানুষকে প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে ই-নামজারির ক্ষেত্রে এটা বেশি হচ্ছে সে বিষয়ে আপনারা কি দিক নির্দেশনা দিলেন বা ডিসিরা কি কি সমস্যার কথা জানালেন– এমন প্রশ্নের জবাবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, এখন ই-নামজারি করা যাচ্ছে। জানুয়ারি পর্যন্ত একটু সমস্যা থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে এসে সেটা নাই হয়েছে। এখন সেটা করা যাচ্ছে। আমাদের কাছে প্রচুর লোক আবেদন করেছে। আমরা যখন শুরু করি তখন সমস্যা ছিল। আমরা যখন ডিজিটাল মাধ্যমে যাই তখন সারা দেশে সাড়ে ৪ লাখের মতো আবেদন পেন্ডিং ছিল। সেটা এখন কমে এসেছে। দিন দিন এটা আরও কমে যাবে। তখন মানুষের হয়রানিও কমে যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য আগামী ১০ মার্চের মধ্যে এটা করে ফেলব। আশা করছি তার আগেই মানুষ এটা ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবে। আমাদের ভোগান্তি ৮০ ভাগ কমে গেছে।