শুল্ক কমলেও বাড়তি পেঁয়াজের দাম, ভারতীয় সিন্ডিকেটকে দায়ী

২০ শতাংশ কম শুল্ক, টনপ্রতি ১৪৫ ডলার কম দামে আমদানির পরও দেশে কমছে না পেঁয়াজের দর। এর পেছনে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন আমদানিকারকরা। তাদের অভিযোগ ভারতীয় ব্যবসায়ীরা কমপক্ষে ১৫ টাকা বাড়তি দামে পেঁয়াজ রপ্তানি করছেন।

ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হওয়ায় ব্যাপক হারে রপ্তানির উদ্যোগ নেয় দেশটি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর রপ্তানি শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ ও টনপ্রতি পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলারে নামিয়ে আনে ভারত সরকার। এখন কম শুল্কে পেঁয়াজ আমদানি করছেন দেশের আমদানিকাররা। অথচ বাজারে এর প্রভাব নেই। হিলির আমদানিকারকদের দাবি, সব দোষ ভারতীয় ব্যবসায়ীদের।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, ভারতে পেঁয়াজের দাম সিন্ডিকেট করে কেজিপ্রতি দাম ১৫ টাকা বাড়িয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।

রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। প্রতিকেজি দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে একই দামে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজির দাম ১১০ টাকার মধ্যে।

এদিকে, দেশের মানুষকে কম দামে ইলিশ খাওয়ানো উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বন্ধ করেছে রপ্তানি। তারপরও কাজ হয়নি। বরং কয়েকদিনে ইলিশের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ২০০ টাকা। যদিও দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে, রপ্তারি এখনও শুরু হয়নি।

বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারের উদ্যোগ কেন সফল হচ্ছে না? বিশ্লেষকরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঢিলেমিতে ফের সক্রিয় পুরানো সিন্ডিকেট।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন জানান, শুল্ক কমানো সুফল যেনো মাঠ পর্যায়ে যায়, সেটার নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া পণ্যের দাম ভোক্তার নাগালে আনতে এখনই সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।