শেখ হাসিনার ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করেছে ভারত সরকার। এর ফলে দেশটি থেকে বিশ্বের যে কোনো দেশের ভিসা নিয়ে তিনি সেখানে যেতে পারবেন। বিষয়টি নিয়ে যখন দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে খবর, ঠিক তখনই নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ট্রাভেল ডকুমেন্ট যে কোনো দেশ যে কাউকেই ইস্যু করতে পারে। আমাদের ঠেকানোর কোনো উপায় নেই। তবে কোনো মামলায় যদি তাকে (হাসিনা) আদালত হাজির করতে নির্দেশ দেন, তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে নরসিংদীর সেবা সংঘ পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেওয়ায় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হবে না।

তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের কিছু বিষয়ে অস্বস্তি ছিল, সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবো। আমাদের মধ্যে বিদ্যমান যে সম্পর্ক আছে, সেটা বজায় থাকবে। সম্পর্ক উন্নয়ন উভয়েরই দরকার। ভারতের যেমন আমাদের দরকার, তেমনি আমাদেরও তাদের (ভারতের) দরকার।

এ সময় নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হোসেন, সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরিন, নরসিংদী মডেল থানার ওসি এমদাদুল হক, ২৮ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ হুমায়ুন রশিদ, নরসিংদী সেবা সংঘ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুরুজ সাহাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা একাধিক দেশের রাজনীতিবিদরা এর আগে ট্রাভেল ডকুমেন্ট সেবা পেয়েছেন। এটি ব্যবহার করে বিশ্বের যে কোনো দেশের ভিসা নিয়ে সেখানে ভ্রমণ করার সুবিধা পাওয়া যায়। সাধারণত কোনো দেশে আশ্রয়প্রার্থীদের সেই দেশের ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেওয়া হয়। তবে শেখ হাসিনা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন কি-না, সে ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও মন্তব্য করেনি নয়াদিল্লি।