শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয় করার সমালোচনা নিয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। একটি পডকাস্টে তাকে যখন প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করার কারণে অনুশোচনায় ভোগেন? ফারিয়া তার জবাব দেন ইংরেজিতে। তিনি বলেন- আমি বলতে চাই, এখানে অনুশোচনার মতো কিছুই নেই।
দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আওয়ামীপন্থী শোবিজ তারকারা বেশ বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই আছেন লোক চক্ষুর আড়ালে, কেউ আবার আস্তে আস্তে কাজে ফিরতে চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে সেসব তথ্যও উঠে এসেছে।
কিন্তু কিছু তারকা আছেন, যারা সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থাকলেও শুধু শেখ হাসিনার সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ করা কিংবা বিভিন্ন সময়ে তার প্রশংসা করার জন্য বিপদে পড়েছেন। বিশেষ করে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় কাজ করার সুবাদে কয়েকজন শিল্পীকে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। তাদেরই একজন নুসরাত ফারিয়া।
আসছে ঈদে তিনি ‘জ্বীন ৩’ সিনেমা নিয়ে ফিরছেন। এরইমধ্যে এই ছবির ‘কন্যা’ গানটি দিয়ে তিনি দারুণ সাড়া পেয়েছেন দর্শক থেকে শুরু করে অন্য শোবিজ তারকাদের।
অনুশোচনা নেই কেন সে বিষয়ে ফারিয়া বলেছেন, আমরা শিল্পীরা সাড়ে ৫টায় ঘুম থেকে উঠে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করি। এর পেছনে অনেক শারীরিক পরিশ্রম যায়। স্পেশ্যাল এই সিনেমার (মুজিব: একটি জাতির রূপকার) জন্য ২০১৯ থেকে ২০২৩- ৫ বছর আমি একই লুকে নিজেকে মেইনটেইন করেছি। চুলে কোন রঙ করিনি, কালো চুল নিয়ে ঘুরেছি এই চরিত্রটির জন্য। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ শারীরিক ওজনের মধ্যে থাকতে হয়েছে। মোট কথা, আমি বলতে চাই এই সিনেমার জন্য আমি আমার জীবনের দীর্ঘ ৫টি বছর দিয়েছি। ফলে সেই কাজটিকে নিয়ে যদি অনুশোচনা করি তাহলে আমার পেশাকেই অপমান করা হবে।
তিনি যুক্ত করে বলেন, এই সিনেমার জন্য আমি যে পরিস্থিতি পার করেছি বা এখনো করছি তা আমার ভাগ্যে লেখা ছিলো বলেই মনে করি। এটা খণ্ডানোর ক্ষমতা আমার ছিলো না। ফারিয়া আরো বলেন, একটি দেশের সরকারি পর্যায় থেকে কোন কাজের প্রস্তাব আসলে তা নিজের অতো পছন্দ না হলেও মানা করা যায় না।
ছাত্র আন্দোলনে নুসরাত ফারিয়ার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় সেই পডকাস্টে। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি তখন কানাডাতে কিছু শো করতে গিয়েছিলাম। ভুল সবসময়ই ভুল। তাই যখন আমার মনে হয়েছে, তখনই আমি ছাত্রদের পক্ষে পোস্ট করেছি। আমার সোশ্যাল মিডিয়া ঘাটলে সেটা দেখতে পাবেন।