অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে আমাদের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র এবং বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার করতে হবে।
৩০ নভেম্বর নিক্কেই এশিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। গতকাল সোমবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।
ড. ইউনূস বলেন, এই সংস্কার বাস্তবায়নে সময় লাগবে, কারণ আমরা মূলত শুরু থেকে একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ে তুলছি।
নির্বাচন কবে হবে তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়া ও এর ফলাফলের উপর নির্ভর করবে নির্বাচনের সময়।
আগামী নির্বাচনে অংশ নিবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন— না, আমি রাজনীতিবিদ নই, আমি সবসময় রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছি। তিনি বলেন, যারা নীতিতে অটল, আইন-কানুন মেনে চলেন এবং দুর্নীতিমুক্ত তাদেরই নির্বাচনে দাঁড়ানো উচিত।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিগত ১৫ বছরে হাসিনার সরকারের আমলে, রাষ্ট্র পরিচালনার সব নিয়মনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা এখন গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছি।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এর আগে বিক্ষোভে নিহত হন শত শত বিক্ষোভকারী।
অক্টোবরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হাসিনা ও অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনার বিচার শেষ হয়ে গেলে এবং রায় হয়ে গেলে তাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করব। উভয় দেশের স্বাক্ষরিত একটি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে হবে ভারতকে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের উদ্বেগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যা বলা হচ্ছে তার বেশিরভাগই গুজব। এর পেছনে কোনো ভিত্তি নেই।
আমরা ভারত সরকারকে এই তথ্য জানাতে এবং ভুল তথ্য মোকাবেলায় কাজ করছি।