বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও ইফতেখার রহমান মিঠু দেখলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বাংলাদেশ ভ্রমণের অংশ হিসেবে এই ট্রফি গতকাল নেওয়া হয়েছিল মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেখানে বৈশ্বিক এই ট্রফি দেখে তাদের মনে হয়তো প্রশ্ন উঠেছিল, বাংলাদেশ কি পাবে এই ট্রফি?
সঠিক উত্তর মনের ভেতরেই রেখেছেন। তবে মুখে শুনিয়েছেন আশার বাণী। নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মিরাজও সেই আশা লালন করেন। কিন্তু বাস্তবতা কিছুটা কঠিন। ট্রফি দেখে সবারই জয়ের লোভ জাগে। তবে সেটি অর্জন করতে হয় কঠিন পরীক্ষা উতরে। ভক্তরাও জানেন সেটি, তবে নিজেদের চোখের সামনে এই ট্রফি দেখে সেটি অর্জনের প্রত্যাশা আরও বাড়ে বই কমে না।
গতকাল মিরপুরে ট্রফি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের বাংলাদেশ সফর শেষ হলো। এবার গন্তব্য দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও ভারত ঘুরে পাকিস্তানে গিয়ে শেষ হবে ট্রফির সফর। গেল ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছিল ট্রফিটি। এর পরে সেটিকে কক্সবাজারে নেওয়া হয়।
১১ ডিসেম্বর সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে দর্শনার্থীদের ফটোসেশনের জন্য ট্রফি প্রদর্শন করা হয়। পরদিন ঢাকায় বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে রাখা হয়েছিল ট্রফি। সেখানেও ছবি তোলার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তরা।
ট্রফি ভ্রমণের শেষ দিনে গতকাল সেটি প্রদর্শন করা হয় মিরপুরে। ক্রিকেটারসহ কর্মকর্তা, সংগঠক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য বিসিবি প্রাঙ্গণে এই আয়োজন করা হয়েছিল। তবে ক্রিকেটারদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর এবং এনসিএল নিয়ে পুরুষ ক্রিকেটাররা ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি। নারী দলের ক্রিকেটারদের খেলা না থাকলেও তাদের দেখা যায়নি মিরপুরে। তবে সদ্য এশিয়া কাপ জয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওপেনার কালাম সিদ্দিকী এসেছিলেন। তিনি এই ট্রফি জয়ের প্রত্যাশার কথাও জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আগামী বছর পাকিস্তানের মাটিতে পর্দা উঠবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। টুর্নামেন্টের সূচি এখনো প্রকাশ না হলেও ট্রফি ভ্রমণ শুরু হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই টুর্নামেন্ট পাকিস্তানেই গড়াবে কিনা, ভারত সেখানে অংশগ্রহণ করবে কিনা, এমন অনেক প্রশ্নের সমাধান এখনো পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ৫০ ওভারের খেলা ২০ ওভারেও নেমে আসার কথা শোনা যাচ্ছে।