আগাম সাধারণ নির্বাচনের পথ তৈরির লক্ষ্যে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে নিজেকে একজন সংস্কারপন্থি হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন দিশানায়েকে। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি ক্ষমতায় আসার ৪৫ দিনের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেবেন। এর মধ্য দিয়ে সাধারণ নির্বাচনে নিজ নীতির পক্ষে এক নতুন সমর্থন আদায় করতে চান তিনি।
ভেঙে দেয়া ২২৫ সদস্যের সংসদে অনুরা কুমারার নির্বাচনী জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) মাত্র তিনটি আসন ছিল।
সরকারি গেজেটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ১৪ নভেম্বর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যদিও প্রায় এক বছর পর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
এদিকে প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মঙ্গলবার তার মিত্র হরিনি আমারাসুরিয়াকে বাছাই করেছেন। শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে তিনি তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হলেন।
গত শনিবার শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন অনুরা কুমারা দিশানায়েকে। এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘জনগণের চাহিদার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়, এমন সংসদ চালিয়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই।’
শ্রীলঙ্কায় ২০২০ সালের আগস্টে পাঁচ বছর মেয়াদে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনুরা কুমারা দিশানায়েকে তার দুর্নীতিবিরোধী ও দারিদ্র্য বিমোচন–সহায়ক নীতিতে ক্রমবর্ধমান সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয় তার জোট। ২০২২ সালে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে পদত্যাগ করে পালানোর পর এটিই ছিল দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচন।