নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সকলের জন্য নিরাপদ ও মানসম্মত প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতকরণে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে সমৃদ্ধ। এখানে অনেক রিসোর্স আছে কিন্তু সমস্যা হলো মৎস্য ও প্রাণিখাতে অনেক প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। তাই বিলুপ্তি হওয়া ঠেকাতে নবীণ কর্মকর্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
আজ বিকালে সাভারে অবস্হিত বিসিএস লাইভস্টক একাডেমিতে “নবনিয়োগপ্রাপ্ত ৪৩তম বিসিএস (পশুসম্পদ) ও বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডার কর্মকর্তাগণের অবহিতকরণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, খাদ্যের ক্ষেত্রে শুধু পুষ্টি হলেই চলবেনা তা নিরাপদ কিনা গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে ফিডের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ ফিড নিরাপদ হলে মাছ-মাংস নিরাপদ হবে।
নবীন কর্মকর্তাদের সরকারি আইনের প্রতি গুরুত্বারোপ তিনি বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কে জানতে হবে।জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয় কীটনাশক ও হার্বিসাইড ব্যবহারের ফলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে অনেক ক্ষতি করে যাচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে উপস্হিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুর রউফ, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন বিসিএস লাইভস্টক একাডেমির পরিচালক ডা: এ. কে. এম. হুমায়ুন কবীর।
উল্লেখ্য, নবনিয়োগপ্রাপ্ত ৪৩তম বিসিএস (পশুসম্পদ) ও বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডার কর্মকর্তাগণের অবহিতকরণ কোর্সে বিসিএস পশুসম্পদ ক্যাডারের ৯৫ জন এবং বিসিএস মৎস্য ক্যাডারের ৩৮ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।