সকালের নাশতায় সুজি খাওয়া ভালো নাকি খারাপ জানালেন পুষ্টিবিদ

অনেকেই আছেন যারা সুজি খেতে পছন্দ করেন। সুজির নানান পদ বানিয়ে তারা খান। সকালের নাশতায় অনেকেই সুজি রাখেন। তবে শরীরে কেমন প্রভাব পড়ছে সেটা জানেন না। সুজি নিয়ে একেক জন একেক কথা বলেন। সুজি উপকারী নাকি ক্ষতিকর সে বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন, পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার। সুজির বিভিন্ন পুষ্টিগুণের পাশাপাশি কিছু বিষয়ে সাবধান করেছেন এই পুষ্টিবিদ।

সুজির বিষয়ে বলছে গিয়ে পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার বলেন, সুজি অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। এতে রয়েছে থিয়ামিন, ফোলেট, রাইবোফ্ল্যাভিন, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম এবং কিছুটা প্রোটিন। তাই সুজি খেলে সুস্থ থাকে শরীর। একাধিক ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি মিটিয়ে ফেলা যায়। এর পাশাপাশি এই খাবার খেলে হার্ট ভালো থাকে। কমে কোলেস্টেরল। তাই কেউ চাইলে নিয়মিত এই খাবার খেতেই পারেন। তাতেই উপকার পাবেন। তবে সুজি খাওয়ার বিষয় কিছু ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে।

সুগারের সমস্যা: সুজির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কিছুটা বেশি। তাই ডায়াবিটিস রোগীরা প্রতিদিন সুজি খেলে সমস্যা হতে পারে। তাদের রক্তে গ্লুকোজের লেভেল বেড়ে যেতে পারে। বিশেষত, চিনি মিশিয়ে সুজির পদ বানিয়ে নিলে ক্ষতি হবে আরও বেশি। তাই এই রোগে ভুক্তভোগীরা সুজির থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। তবে যাদের ডায়াবিটিস একবারে কন্ট্রোলে রয়েছে, তারা মাসে এক-আধবার এই খাবার খেতেই পারেন। তাতে খুব একটা ক্ষতি হবে না।

কোলেস্টেরল: হাই কোলেস্টেরলে ভুক্তভোগীরা সুজি খেতেই পারেন। তাতে কোনও মানা নেই। তবে সমস্যা হচ্ছে, সুজিতে স্বাদের জন্য চিনি, দুধ এবং ঘি মেশান অনেকে। আর এভাবে সুজি খেলে কোলেস্টেরল লেভেল বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই চেষ্টা করুন চিনি, ফ্যাট সমৃদ্ধ দুধ এবং ঘি এড়িয়ে সুজি খাওয়ার।

গ্লুটেনের সমস্যা: অনেকেরই গ্লুটেন অ্যালার্জি থাকে। যাদের এই সমস্যা আছে তারা গ্লুটেন রয়েছে, এমন কোনও খাবার খেলেই গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বমি এবং পেট খারাপের মতো সমস্যায় পড়েন। তাই গ্লুটেন খেলে সমস্যা হলে সুজি খেতেও বারণ করা হয়।