”সড়ক পরিবহণ ও রাইড—শেয়ারিং সেক্টরে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার যৌথ সুপারিশ প্রণয়ন”

শ্রম ভবনে শ্রম সংস্কার কমিশনের নিকট ” Work & Health Safety Assistance Center ” এবং “ঢাকা রাইড—শেয়ারিং ড্রাইভার্স ইউনিয়ন” পৃথকভাবে (৬ জানুয়ারি) দুপুর ৩টায় তাদের সুপারিশমালা কমিশনের নিকট প্রণয়ন করেছে।

উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদসহ অন্যান্য সদস্য শাকিল আখতার চৌধুরী, ড. মাহফুজুল হক, জনাব আনোয়ার হোসেন, জনাব রাজেকুজ্জামান রতন, জনাব এ এন এম সাইফুদ্দিন, জনাব আরিফুল আলম সহ অন্যান্যরা।

সড়ক পরিবহণ সেক্টরে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের পক্ষ থেকে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে: কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়ন, স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা, নিয়মিত প্রশিক্ষণ, বীমা সুবিধা, মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট।

রাইড—শেয়ারিং সেক্টরে ন্যায্যতা ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে তাদের পক্ষ থেকে ৭টি বিষয়ে সুপারিশ উত্থাপন করা হয়েছে: রাইড—শেয়ারিং আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ন্যায্য ভাড়া কাঠামো, কমিশন হার সীমাবদ্ধকরণ, প্ল্যাটফর্ম ও বুকিং ফি বাতিল, আইডি বন্ধের ন্যায়সঙ্গত প্রক্রিয়া, চালকদের সুরক্ষা, ক্যান্সেলেশন ও অপেক্ষা ফি।

কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ বলেন, সকল মতবিনিময় সভায় আমরা বিভিন্ন সেক্টর থেকে শ্রমিকদের নতুন নতুন কাজ করার দিক আমরা খুজে পাই। কমিশন আমাদের জন্য সুযোগ করে দিয়েছে শ্রমিকের জন্য কাজ করার।

একই দিন বিকাল ৫টায় শ্রম ভবনে নারী ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ শ্রম সংস্কার কমিশনের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। তারা কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিম্নলিখিত বিষয়ে উল্লে্যখযোগ্য সুপারিশমালা পেশ করেন:

নিয়োগ ও চাকরির নিশ্চয়তা, কর্মঘণ্টা, বিশ্রাম ও ছুটি, মজুরি ও সামাজিক নিরাপত্তা, কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা, মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা, অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সুরক্ষা, বৈষম্য ও হয়রানি প্রতিরোধ, ট্রেড ইউনিয়নে নারীদের অংশগ্রহণ, আইনি সংশোধন ও সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রযুক্তির প্রভাব প্রভৃতি।

কমিশন সদস্য জনাব তসলিমা আখতার নারী ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের খেয়াল রাখতে হবে কীভাবে শিল্প এবং শ্রমের সমন্বয় করে একটি সুপারিশ প্রণয়ন করা যায়। তবে শ্রমিক কে ছোট করা, নারী পারবে না এই ধারনা থেকে বের হওয়ার জন্য আমাদের প্রস্তাবনা দিতে হবেন। শ্রমিককে তুই বলে সম্বোধন করা বা হেয় করে কথা বলা এইসব ব্যাপারে সাস্কৃতিক পরিবর্তনের সুপারিশ করা যেতে পারে বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন। আইন সংস্কার নিয়ে আরও বলেন, নারীদের ক্ষেত্রে ভাষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। উদাহররণস্বরূপ তিনি উল্লে্যখ করেন নারী রেপড হওয়ার পর আমরা কখনোই বলতে পারি না নারীর সম্মানহানী হয়েছে, আইনে এই টার্মগুলো পরিবর্তন করার সময় এসেছে।