‘সতর্কতামূলক’ মহড়ায় তাইওয়ানকে ঘিরে ধরেছে চীন

স্বশাসিত তাইওয়ানের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ শক্তির বিরুদ্ধে ‘কঠোর হুঁশিয়ারি’ প্রদানের লক্ষ্যে দ্বীপদেশটির চারদিকে যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজের সমন্বয়ে আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) থেকে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। খবর এএফপির।

বেইজিং এখনও তাইওয়ানকে নিজের কব্জায় আনতে শক্তি ব্যবহার করা হবে না, এমন কথা বলেনি এবং আজ থেকে যে মহড়াটি শুরু হলো তা গত দুবছরের মধ্যে যে চারটি বড় ধরনের যুদ্ধের মহড়া হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম।

এই মহড়া শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছে চীনের এ ধরনের পদক্ষেপ ‘অযৌক্তিক’ এবং তা কেবল ঝুঁকিপূর্ণ ‘উত্তেজনাকে’ বাড়িয়ে তুলবে। দেশটি চীনকে এ বিষয়ে সংযম প্রদর্শনেরও আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, গত মে মাসে দ্বীপদেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া লাই চিং-তে গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে রক্ষা করতে ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে তার প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই মহড়ার জবাবে প্রয়োজনীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেছে বলে জানিয়েছে।

এএফপির একজন সাংবাদিক আজ সোমবার তাইওয়ানের উত্তরে শিনচু বিমান ঘাঁটি থেকে ১২টি যুদ্ধবিমানকে আকাশে উড়তে দেখেছেন।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাইপে এ বিষয়ে ‘উচ্চমাত্রার সতর্কতায়’ রয়েছে এবং তাদের যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজগুলো তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব হিসেবে শত্রুর বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা করবে।

‘জয়েন্ট সোর্ড ২০২৪ বি’ নামের চীনের এই মহড়াকে সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ সামর্থ্যের কার্যক্রম হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ইস্টার্ন কমান্ডের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন লি শি। তিনি জানান, তাইওয়ান দ্বীপের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বে এই সামরিক মহড়া চলছে। সমুদ্র ও আকাশ পথে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই কমব্যাট অপারেশনটি চালানো হচ্ছে।

এই মহড়া থেকে জল ও স্থলপথে হামলা চালানোর প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লি শি।