আর মাত্র কয়েকদিন বাকি পবিত্র ঈদুল ফিতর। পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইটপাথরের শহর ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন নগরবাসী। ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে সরগরম হয়ে উঠেছে লঞ্চ টার্মিনাল। বিশেষ করে, শুক্রবার থেকে সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় মানুষের বেশ উপস্থিতি দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে সদরঘাটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, লঞ্চ টার্মিনালে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। সবাই নিজ নিজ গন্তব্যের লঞ্চে উঠতে ব্যস্ত। কেউ পরিবার নিয়ে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছেন। আবার কেউ পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে বাড়ি যাচ্ছেন। কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের জন্য শপিং করে ব্যাগে বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন।
যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু যাত্রা নিশ্চিত করতে নৌ-পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে দেখা গেছে। তবে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে যাত্রীদের কিছু ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
রাহাত নামের একজন যাত্রী বলেন, অনেকদিন পর বাড়ি যাচ্ছি। বাড়ি গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার অনুভূতি অন্যরকম। বাবার জন্য পাঞ্জাবি এবং ছোট বোনের জন্য জামা কিনেছি।
তবে লঞ্চের কেবিন পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আরও ৪ দিন আগে লঞ্চে কল করে কেবিন বুকিং দিয়ে রেখেছি। বর্তমানে যাত্রীদের ভিড়ের কারণে অনেকে কেবিন পাচ্ছেন না। সব কেবিনে লোক ভর্তি হয়ে গেছে। লঞ্চের খালি জায়গাগুলোও মানুষের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দূরপাল্লার লঞ্চগুলোতে সশস্ত্র আনসার মোতায়েনসহ নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে নৌপথের বিশেষ অপরাধপ্রবণ জায়গাগুলোতে বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
এছাড়া বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রী ও যানবাহনসমূহকে ফেরি ও যাত্রীবাহী জাহাজে সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য বিআইডব্লিউটিসির কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনসমূহকে প্রয়োজনে ০২২২৩৩৬২৭৭৯ ও ০১৪০৪৪৪৩৭০৭ নম্বরে যোগাযোগ করে সেবা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। উপদেষ্টা নৌ-দুর্ঘটনা রোধকল্পে ঈদের আগের ৫ দিন ও পরের ৫ দিন দিনে-রাতে সার্বক্ষণিক বাল্কহেড (বালুবাহী) চলাচল বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন।