ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, সংবিধানে সব ধর্মের অধিকার সমান। এই অধিকারে যেন কেউ বিঘ্ন ঘটাতে না পারে, সরকার সেই সেফ গার্ড (নিরাপত্তা) দেবে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলের ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি : বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে এম আইপিএস, দ্য হাংগার প্রজেক্ট।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর আমেরিকায় একটি সেমিনার হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই সেমিনার কারা আয়োজন করেছে সেই রিপোর্ট আমাদের কাছে আছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত দেখা করতে এলে এই বিষয়টি তোলেন। তাই ধর্মীয় সম্প্রীতির বিষয়ে সরকার কোনো ছাড় দেবে না।
বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি, ভাবমূর্তি এবং সুনাম যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এ সরকার সব ধর্মীয় গোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি নিশ্চিত করতে সব ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আমরা বসেছি, প্রধান উপদেষ্টাও আলাদাভাবে বসেছেন।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, এ দেশে সব ধর্মীয় মানুষের যেমন রাজনৈতিক অধিকার আছে তেমনি তার মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে। তবে নিরাপত্তায় যারা বিঘ্ন ঘটাবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই, ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। যারা উপাসনালয় হামলা চালায়, পরিবেশ বিঘ্নিত করতে চায়, তারা দুর্বৃত্ত, সন্ত্রাসী। তাদের কোনো ধর্মীয় পরিচয় নেই।
উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে যারা উপাসনালয় হামলা করেছে বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাধার সৃষ্টি করেছে তাদের আমরা চিহ্নিত করেছি, তাদের আইনের আওতায় এনেছি। তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক রফিক উল ইসলাম, আইপিএস ডেপুটি ডিরেক্টর ড. নাজমুল নাহার নূর লুবনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামুন আল মোস্তফা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার নিউমারারি শিক্ষক ড. সুকুমার বড়ুয়া প্রমুখ।