অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি
দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহজ শর্তে ঋণ দেয়া ও সব মেয়াদী ঋণের কিস্তি পরিশোধ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শ্রমিকদের জুলাই মাসের বেতন ও গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য সহজ শর্তে ঋণদান, মেয়াদী ঋণের কিস্তি পরিশোধ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করতে সরকারকে অনুরোধ করেছে বস্ত্রকল-মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ। এ জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী সহিংসতার জেরে যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতেই সরকারের কাছে এ অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
অর্থমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, প্রায় দুই সপ্তাহের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে অধিকাংশ সময় বস্ত্র কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় রফতানি খাতের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ক্রয়াদেশ বাতিল হয়ে যাওয়া, উৎপাদন কমে যাওয়া, কারখানায় শ্রমিকদের অনুপস্থিতি ও কাঁচামাল সংকটে বস্ত্র কারখানার মালিকেরা কঠিন সময় পার করছেন। এর মধ্যে শ্রমিকদের গত জুলাই মাসের বেতন পরিশোধের সময় এসে গেছে। তাই এই কঠিন পরিস্থিতি বিশেষভাবে বিবেচনায় নিয়ে চলতি মাসের বেতন পরিশোধে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ সুদহারে এক বছর মেয়াদে ব্যাংক ঋণ দেয়া হলে, কারখানাগুলোর পক্ষে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব হবে। তা না হলে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যত্যয় হতে পারে বলে মালিকরা আশঙ্কা করছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এটা প্রণোদনার আবেদন নয়; বরং তারা ঋণ চাচ্ছেন এবং ধারাবাহিকভাবে এক বছরের মধ্যে তা পরিশোধ করা হবে।
একই সঙ্গে চলমান ঋণের কিস্তি স্থগিতের দাবি করেছে বিটিএমএ। চিঠিতে বলা হয়, ক্রমাগত লোকসানে থাকা প্রচ্ছন্ন রফতানিমুখী ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের পক্ষে এখন মেয়াদী ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা কঠিন। এ অবস্থায় সব মেয়াদী ঋণ আগামী ছয় মাসের জন্য সুদবিহীন করে কিস্তি পরিশোধ স্থগিত রাখার দাবি করেছে তারা।
বিটিএমএর সদস্যভুক্ত কারখানাগুলো ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে সরবরাহকৃত সুতা ও কাপড়ের বিপরীতে তৈরি পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট এলসি প্রদানকারী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেসব বিল নিয়েছে, তা যথাসময়ে পরিশোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করা হয়েছে। এই বিলের অর্থ পাওয়া গেলে সদস্য কারখানাগুলো কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় চলতি পুঁজির সংকট থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে।