সাকিবকে ভুলে ক্রিকেটে মন দিতে চান নতুন কোচ

নিজেদের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায়ী টেস্ট খেলার ঘোষণা দিলেও দেশে ফিরতে পারেননি সাকিব আল হাসান। নিরাপত্তা ইস্যুতে আটকে গেল তাঁর দেশে ফেরা। পরশু থেকে মিরপুরে শুরু হবে বাংলাদেশ–দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজের প্রথম টেস্ট।

দলের ভারসাম্যের জন্য সাকিব ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। নতুন কোচ ফিল সিমন্সের জন্য শুরুতে আরেকটা চ্যালেঞ্জও এটি। সাকিবের রিপ্লেস না থাকায়, আলাদা একজন বোলার-ব্যাটার নিয়ে ভাবতে হবে তাঁকে। সিমন্স অবশ্য সাকিবের দেশে ফিরতে না পারা কিংবা দলে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে ভাবছেন না।

বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ মিরপুর শেরেবাংলায় নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, সাকিব-ইস্যু ভুলে ক্রিকেটে মনে দিতে চান তাঁরা। সিমন্স বললেন, ‘আগামী কয়েক দিনে আমাদের কাজের একটি বড় অংশ এটি নিশ্চিত করা, পরবর্তী সিরিজে সবকিছু ক্রিকেটের ওপর মনোযোগী হওয়া। ক্রিকেটের বাইরের জিনিসগুলোয় নয়।’

বাংলাদেশে এসে বেশি সময় পাননি সিমন্স। ঢাকায় পা রেখেই নেমে পড়েছেন প্রোটিয়া সিরিজের প্রস্তুতিতে। মাঠের বাইরের ইস্যু ভুলে ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বললেন তিনি, ‘আমার হাতে একটা দিন আছে। আমি যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, তা যেন নিয়ন্ত্রণ করি। আমরা সোমবারের (টেস্টের প্রথম দিন) জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিই, তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।’

সিমন্সের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু ২০০৪ সালে। ২০ বছর আগে জিম্বাবুয়ের কোচ হয়েই শুরু। পরে আয়ারল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্বও পালন করেন। ২০১৬ সালে তাঁর অধীনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল। ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল), পিএসএল, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি), কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ-বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে সিমন্সের।

বাংলাদেশের কোচ হওয়ার প্রস্তাব প্রসঙ্গে সিমন্স জানিয়েছেন, শনিবার প্রস্তাব পেয়ে বুধবার যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শনিবার (১২ অক্টোবর) প্রস্তাব পেয়েছিলোম। তারপর বুধবার যোগ দিয়েছি। তরুণদের সঙ্গে কাজ করতে সব সময় পছন্দ করি। বাংলাদেশের এবার খুব ভালো সুযোগ আছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর। পরিসংখ্যানও তাই বলে। আমার ফিলোসফি আগের মতোই আছে, সেই কঠোর পরিশ্রম।’