ঈদযাত্রার ষষ্ঠ দিনেও সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। শিল্পাঞ্চল খ্যাত সাভার-আশুলিয়ায় অধিকাংশ পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে যাত্রীদের অভিযোগ নির্ধারিত ভাড়া থেকেও বেশি ভাড়া আদায়ই করছে বাসের কাউন্টার ও পরিবহনগুলোতে।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সাভারের হেমায়েতপুর, উলাইল, পাকিজার মোড়, সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড ও আশুলিয়ার নবীনগর, বাইপাইল, বলিভদ্র বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ লক্ষ করা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাতে সাড়ে ১০টার দিকে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে মনসুর মার্কেটের সামনে বাসের কাউন্টারগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় লোক দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না। সে কারণে বাসের টিকিট কেটে বাধ্য হয়ে যাত্রীরা সড়কে দাঁড়িয়ে যাত্রী জটলা করছিল। এছাড়া পাকিজার মোড়ে কয়েক শতাধিক যাত্রী বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
উলাইল ও গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে লোকাল পরিবহনগুলো বাড়তি ভাড়া নিয়ে যাচ্ছে অন্য জেলা শহরে ও দূরপাল্লার সড়কে। তবে একাধিক যাত্রীরা জানায় নির্ধারিত সময়েও গাড়ি কাউন্টারে না আসায় সড়কে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এছাড়াও ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ই করছে বাসের হেলপার ও কাউন্টার মাস্টাররা।
পাটুরিয়ার যাত্রী ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমি উলাইল থেকে ইতিহাস বাসে উঠেছি। মূলত ইতিহাস বাস মিরপুর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত যায়। কিন্তু ঈদের কারণে পাটুরিয়া যাবে, তবে ভাড়া ২০০ টাকা বলে ক্ষোভের কথা জানান তিনি।
অন্যদিকে শ্যামলী বাসের কুড়িগ্রামের যাত্রী আমিনুল অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। গাড়ি সঠিক সময়ে আসছে না, আবার ভাড়া দ্বিগুণ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে জননী বাসের কাউন্টার মাস্টার হাফিজ আল মামুন বলেন, এখন বাসে যাত্রী কম, যানজটের কারণে গাড়ি দেরিতে আসে। রাস্তায় অনেক যানজট রয়েছে। যানজটের কারণে একটি গাড়ি অনেক সময় এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত দেরি হচ্ছে। ভাড়া বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সঠিক ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।